লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে 'আওয়ামী দোসর' ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ: দলীয় অসন
ঝালকাঠি-২ আসনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোকে ঘিরে দলীয় কোন্দল ও ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই আসনে, যা নলছিটি ও ঝালকাঠি সদর এলাকা নিয়ে গঠিত, দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিভাজনের একটি উদ্রেক দেখা গেছে। ইসরাত সুলতানা সম্প্রতি যখন তার মনোনয়ন লাভ করলেন, দলের বেশ কিছু মহল থেকে তীব্র আপত্তি উঠে আসতে শুরু করেছে। যা তাকে ঘিরে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ততা এবং দীর্ঘ সময় দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামে অংশ না নেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হয়েছে। দলের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংকটময় পরিস্থিতিতে তার অনুপস্থিতি এবং নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
এরপর মনোনয়নপ্রাপ্তির পর থেকেই অন্যান্য প্রার্থীরাও প্রশ্ন তুলেছেন; যেমন জেবা আল আমিন ও অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, তারা দলের দুঃসময়ে ইসরাত সুলতানার কোথায় ছিলেন তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগও উঠেছে, যা পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের একটি বড় অংশের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, যেখানে তারা দাবি করছেন যে ইসরাত সুলতানার গত পাঁচ বছরে কোনো কার্যকরী ভূমিকা ছিল না। নেতাকর্মীরা এই মনোনয়নকে বোধগম্য করতে পারছেন না এবং তাদের ভাষায় এমন ব্যক্তি দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এছাড়াও, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: শাহিন হোসেন তার ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে ২০০১-২০০৬-এ ইসরাত সুলতানা কোথাও ছিলেন না এবং দলের প্রতি নিঃস্বার্থ ত্যাগই তাদের গুরুত্বপূর্ণ গুণ বলে না উল্লেখ করে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে লঞ্চে পালানোসহ নানা আপত্তিজনক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। দলের পরীক্ষিত নেতারা এসব ঘটনায় গভীর হতাশা প্রকাশ করছেন এবং তাই এই মনোনয়নের পুনর্বিবেচনা করার তাগিদ দিচ্ছেন। তাদের মতে, দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের অবহেলা করে এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া মারাত্মক ভুল হতে পারে, যা সংগঠনের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে।
