close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

Sljedeći

কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে মিললো দুই শিশুর লাশ

20 Pogledi· 29/04/25
Rabiul Alam
Rabiul Alam
5 Pretplatnici
5

⁣মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘেড়ে থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুনতি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনেরা। পরিবারের পক্ষ থেকে শিশু দুই জন পানিতে ‍ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।

লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশগুলো দাফনের জন্য পরিবার ব্যবস্থা গ্রহন করছে। শিশুদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন প্রাথমিক ভাবে দেখা যায় নি।

নিহত দুই শিশু হলো- গুনতি গ্রামের পূর্বপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) গুনতি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র এবং মো. মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন মহিন (১০), সে গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।

পুলিশ ও নিহত শিশুদের পারিবার জানায়, আগেরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই তারা নিখোঁজ হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান মিলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘেরে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে আশেপাশের লোকজনকে খবর দেন ঘেরের লোকজন। পরে শিশুদের স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে ওই পুকুর থেকে দুই শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত জিহাদের মা জান্নাতুল ফেরদৌর জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালেও ছেলেটাকে বাড়ির পাশে খেলতে দেখে আমি বাড়ি ফিরতে বলি। সে আসে নাই। এরপর দুপুরের দিকে মহিনের মা এসে মহিনকে খোঁজে। না পেয়ে পরে আমরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদেরকে পাই নাই। আজ সকালে শুনি মহিন আর আমার ছেলের লাশ পানিতে পরে আছে।
নিহত জিহাদের বাবা রুবেল হোসেন জানান, তারা কিভাবে মারা গেছে কেউ জানে না। গতকাল খেলাতে গিয়ে তারা দুই জন ফিরে আসে নি।

এ বিষয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনিন সুলতানা বলেন, কুমিল্লার লাকসামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ভোরে খবর পেয়ে আমরা গুন্তি গ্রামের মাছের ঘেড়ে পুলিশ পাঠিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় এনেছি। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুইটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

Prikaži više

 0 Komentari sort   Poredaj po


Sljedeći