
MD JAHANGIR ALAM
|Subscribers
Breaking news
বাজিতপুরে চারবাড়ি জামে মসজিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসার জমিতে ভবন নির্মাণ ও মাঠ ভরাটে সহায়তা চায় শিক্ষক-
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভার চারবাড়ি জামে মসজিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসায় ২০৭ জন কোমলমতি ছাত্র পড়াশোনা করছে। মসজিদ ও মাদ্রাসা একই ভবনে থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও আবাসিক ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাদ্রাসার বরাদ্ধকৃত জমি মূলত পরিত্যক্ত পুকুর। আগে এলাকাবাসী প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে বাল্কহেড থেকে বালু কিনে জমি ভরাটের ব্যবস্থা করেছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুটা ভরাট করার পর তা আবারও বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, খেলার মাঠ, আবাসিক ভবন এবং কবরস্থানের জায়গা ভরাট করা অতি জরুরি। জমি না ভরাট হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, শারীরিক অনুশীলন ও আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা তাদের পড়াশোনা ও সার্বিক বিকাশকে প্রভাবিত করছে।
এই পরিস্থিতিতে চারবাড়ি জামে মসজিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মাঠ ভরাট ও ভবন নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনসহ সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের মানবিক সহায়তা কামনা করেছেন।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সুরুজ ম্যানশন (কৃষি ব্যাংক ভবন নামক মার্কেট)-এর মালিক ব্যবসায়ী রকিবুল হাসান খানকে(৪০) হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মার্কেটে ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি করিম চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাজিতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে পশ্চিম বাজিতপুর নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান খাঁন।
এসময় তিনি বলেন, গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাজিতপুর বাজারস্থ সুরুজ ম্যানশনের সামনের খোলা জায়গায় তাকে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় করিম চেয়ারম্যানের ছেলে অর্নব মিয়া (২২) ও সহযোগীরা। এ সময় করিম চেয়ারম্যান (৫৯), রেনু মিয়া (৪৫) এবং আরও ৫-৬ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। একপর্যায়ে অর্নব মিয়া ধারালো রামদা দিয়ে তার মাথায় কোপ মারতে চাইলে তিনি হাত তুলে প্রতিরোধ করেন। এতে তার ডান হাতের আঙুল কেটে রক্তাক্ত জখম হয় বলে অভিযোগ করেন।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা মার্কেটে প্রবেশ করে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে তারা ভবিষ্যতে খুনের হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে জানান তিনি।
তার দাবি, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তার মোবাইল ফোনে রয়েছে। তিনি বলেন, করিম চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অত্যাচারী ও দাঙ্গাবাজ। যেকোনো সময় আবারও আমাকে আক্রমণ করে খুন করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর (প্রোপোরশনারাল রেপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারীতেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের উদ্যোগে গণবিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বাজিতপুর মডেল মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাশমহলে এসে শেষ হয়। এতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা জামায়াতের নাইবে আমীর ডা. ইয়াকুত আলী, সাবেক নায়েবে আমীর ফারুক আহাম্মদ, সেক্রেটারি মোবারক উল্লাহ, কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাজিতপুর উপজেলা সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ, পৌর জামায়াতের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী জুবায়ের আহাম্মদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ সেলিম হায়দার, কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক মনসুর আলমসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই সনদে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং পিআর পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারীতেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তারা দাবি করেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে এই দেশে আর কোনো স্বৈরশাসক জন্ম নেবে না। একইসাথে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিও তারা তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বর্তমানে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও খুন বেড়েই চলছে। তাদের বক্তব্য, পিআর পদ্ধতি ছাড়া এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তাই জনগণের ৫ দফা দাবি আদায়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
মিছিল শেষে বাশমহলে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৫ দফা দাবি আদায় না হলে শিগ্রই আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে পিরিজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জোয়ারিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহাগ মেম্বারের মাছের পুকুরে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে।
সোহাগ মেম্বার জানান, সকালে পাহারাদারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুকুরে গেলে দেখতে পান বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে। তিন একর জমির পুকুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন কীভাবে ঋণের টাকা শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সোহাগ মেম্বার অভিযোগ করেন, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। তিনি আগামীকাল বাজিতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
পুকুরের পাহারাদার শরাফত ইসলাম জানান, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তিনি পাহারা দিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখেন পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠেছে, তবে কে বা কারা বিষ দিয়েছে তা তিনি দেখতে পাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে পিরিজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফারুক মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভবিষ্যতে যেন আর কারও সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাজিতপুরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও দেশপ্রেমের শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার শপথ এবং দেশপ্রেমের শ্লোগানে মুখরিত এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ আহসানুল হুদার নেতৃত্বে এ মিছিল বের হয়।
বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার বটতলা মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা নিয়ে তারা পৌর এলাকার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শহর। বিশেষ করে “দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ” শ্লোগানটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
আয়োজনকারীরা জানান, এ বিক্ষোভ মিছিলের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সতর্ক করা যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনোভাবে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল না করা যায়।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা বলেন, বিদেশি শক্তি বা প্রভাবশালী মহলের কাছে নয়, বাংলাদেশের মানুষ নিজের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করবে। এজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকতে হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ২ নং দিলালপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তাতাল চর নামাহাটি গ্রামের ১০০০ ফুট রাস্তার সলিং কাজ শুরু হলেও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩০০ ফুট। বাকি ৭০০ ফুট রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আজিজ মুন্সির বাড়ি থেকে ফরহাদ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সলিংয়ের কাজ শেষ হলেও বাকি অংশ এখনো অপরিচ্ছন্ন ও কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পথচারী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজিতপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সদস্য রুহুল আমিন রানা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকারের পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মনসুর আলম। এলাকাবাসী দ্রুত অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন—জোয়ারিয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়া (৩৮) ও বাদল মিয়া (৪৮)।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পিরিজপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় ৩৩টি খালি বস্তা এবং ১৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, জব্দ হওয়া সরকারি চালের সঙ্গে পিরিজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হাবিবুর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ডিলার হাবিবুর রহমান অবশ্য দাবি করেছেন, তার দোকান থেকে কোনো চাল বিক্রি হয়নি এবং তিনি নিয়ম মেনেই সব চাল বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, “অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে সরকারি চালের খালি বস্তা ও আলগা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তে আরও যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহিদুল ইসলাম রিয়াদ জানান, প্রশাসন এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ডিলার জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাসিদ বিন এনাম বলেন, সরকারি চাল নিয়ে কেউ কারসাজি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। যেসব উপকারভোগী তাদের কার্ডের চাল বিক্রি করেছেন, শনাক্ত হলে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হতদরিদ্র মানুষের প্রাপ্য চাল সঠিকভাবে পৌঁছাতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন—জোয়ারিয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়া (৩৮) ও বাদল মিয়া (৪৮)।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পিরিজপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় ৩৩টি খালি বস্তা এবং ১৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, জব্দ হওয়া সরকারি চালের সঙ্গে পিরিজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হাবিবুর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ডিলার হাবিবুর রহমান অবশ্য দাবি করেছেন, তার দোকান থেকে কোনো চাল বিক্রি হয়নি এবং তিনি নিয়ম মেনেই সব চাল বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, “অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে সরকারি চালের খালি বস্তা ও আলগা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তে আরও যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহিদুল ইসলাম রিয়াদ জানান, প্রশাসন এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ডিলার জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাসিদ বিন এনাম বলেন, সরকারি চাল নিয়ে কেউ কারসাজি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। যেসব উপকারভোগী তাদের কার্ডের চাল বিক্রি করেছেন, শনাক্ত হলে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হতদরিদ্র মানুষের প্রাপ্য চাল সঠিকভাবে পৌঁছাতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গণ অধিকার পরিষদ (জেপি) বাজিতপুর উপজেলা শাখা, সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বিকাল পাঁচটায় বাজিতপুর বাজারের বাঁশ মহল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের প্রধান নেতা নুরুল হক নুরের উপর যারা হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের দালাল। বক্তারা বলেন, “এই জাতীয় পার্টির রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ফজল মোল্লা, এনসিপি বাজিতপুর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক রাহাঙ্গীর আলম মান্না, ১নং যুগ্ম সমন্বয়কারী শফিকুল ইসলাম শফিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাজিতপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সেলিম হায়দার, বাজিতপুর পৌর জামায়াতের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ইকবাল।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার, ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার পিরিজপুর বাংলা বাজার গাবতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বাজিতপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে মাছের পোনা অবমুক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলার পাটুলি ঘাটে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস বদরুল আলম শিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আশরাফুল আলম, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মিল্কি।
এছাড়াও বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় পাটুলি ঘাটে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে মোটরসাইকেল র্যালি ও পথসভা করেছে বাজিতপুর অনলাইন একটিভিস্ট ফোরাম।
রবিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার ঐতিহাসিক ডাকবাংলো মাঠ থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাজিতপুর বাজারের আলোছায়া সিনেমা হল মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
আয়োজনে নেতৃত্ব দেন ফোরামের আহ্বায়ক বদরুল রহমান ও সদস্য সচিব নূর মোহাম্মদ বাচ্চু। শতাধিক মোটরসাইকেলের র্যালিতে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা শ্লোগান দেন ‘জেলা জেলা জেলা চাই, বাজিতপুরকে জেলা চাই,বাজিতপুর জেলা আমাদের প্রাণের দাবি, বাজিতপুর জেলা আমাদের ন্যায্য দাবি এবং বাজিতপুর জেলা আমাদের অধিকার।
পথসভায় বক্তারা বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক সুবিধার কারণে বাজিতপুর বহু আগে থেকেই জেলা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ দাবির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
তারা আরও জানান, ১৮৩৪ সালে ব্রিটিশ সরকার বাজিতপুরে দেওয়ানী (চৌকি) আদালত স্থাপন করে, যা এখনো চলমান। ১৮৩৫ সালে বাজিতপুর থানায় উন্নীত হয়, ১৮৬৯ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালে মহকুমা করার লক্ষ্যে প্রায় ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া দেশের খ্যাতনামা জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট, বাজিতপুর রেলস্টেশন, সরারচর রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর বাজিতপুরেই অবস্থিত।
বক্তারা বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও অবকাঠামোগত যোগ্যতার কারণে বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণায় আর দেরি করার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি'র ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত
সমন্বয়কের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি কর্তৃক বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি'র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা ও সম্মেলন প্রস্তুতি সভার আয়োজনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মনির হোসেন নামে এক অটো চালককে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছে আহত অটো চালকের মা মনোয়ারা বেগম।
উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মো: ফারুক মিয়া ও সবুজ মিয়াসহ মোট সাতজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১১ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে অটোগাড়ি নিয়ে সরারচর যাওয়ার পথে নুরপুর এয়ারপোর্টের সামনে পাকা রাস্তার উপর গাড়ী আটকিয়ে অটোচালক মনির হোসনকে মারধর করা হয়। এতে গুরুত্বর আহত হয় অটোচালক মনির হোসেন।
আহত অটোচালকের বড় ভাই মোঃ হাবিব মিয়া জানান, মনিরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে গর্তের পানিতে ডুবিয়ে রাখে। বর্তমানে আমার ভাইয়ের অবস্থা খারাপ, ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে।
তিনি আরো বলেন, গত ৩০ জুলাই সরারচর রেলস্টেশনের পশ্চিমপাশে অটোস্ট্যান্ডে গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে আমার ভাই মনির ও ফারুকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই আমার ভাইকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়ার মুঠোফোনে (০১৮২৯৬৮৩৮৫৮) বারবার কল দিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুরাদ হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মধ্য চন্দ্রগ্রামে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। দিনে-দুপুরে প্রায় ৩০০ ফলন্ত কলাগাছ ও অসংখ্য কলার ছড়ি কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের ভাষায়—এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
পূর্ব চন্দ্রগ্রামের খবিরুল্লাহ শিশু মিয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে তার কলাবাগান ধ্বংস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশবিদদের মতে, জমি নিয়ে মামলা থাকলেও আদালতের রায়ের আগে ফলন্ত গাছ কেটে ফেলা নিন্দনীয় ও আইনবিরোধী। এমন কর্মকাণ্ড শুধু মালিকের আর্থিক ক্ষতি নয়, পুরো পরিবেশের জন্য হুমকি।
তাদের দাবি, দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। সচেতন মহল সতর্ক করেছে—প্রশাসন যদি এটিকে তুচ্ছ ঘটনা ভেবে এড়িয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও এমন পরিবেশবিধ্বংসী ঘটনা ঘটতে পারে।
এ নিয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরাদ হোসেনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কি এসব নিয়ে বসে থাকি থানায়।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার এবং সম্মানহানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী শিমুল মিয়া ও তাঁর প্রতিবেশী আঃ কাদির। গত ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অনিবন্ধিত একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘বিদেশে চাকরির প্রলোভনে নির্যাতন’ শীর্ষক সংবাদকে তারা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বাজিতপুর উপজেলার হিলোচিয়া ইউনিয়নের বাগমারা মোড়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিমুল মিয়া। তিনি বলেন, উক্ত সংবাদে তাদের বিরুদ্ধে বিদেশগামী এক ব্যক্তিকে নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
শিমুল মিয়া জানান, সংবাদে উল্লিখিত লিটন বর্তমানে বিদেশে সুস্থভাবে কর্মরত আছেন এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। তাকে কেউ কোথাও নির্যাতন করেনি—এমন তথ্য তারা নিশ্চিত হয়েছেন। বরং লিটন বিদেশে প্রথম দিকে তিন মাস তাঁর (শিমুল) সঙ্গে ছিলেন এবং থাকার সময় সমস্ত খরচ তিনিই বহন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, লিটনের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো নাটক তৈরি করে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। একই সঙ্গে এক ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন, টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আঃ কাদির তাঁর বক্তব্যে বলেন, তাঁরা কোনো প্রতারণা বা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বললেই সত্যতা যাচাই করা যাবে। মিথ্যা সংবাদে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, প্রকাশিত সংবাদের সমস্ত অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং তা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি ও মানহানি করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে 'জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি' উপলক্ষে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৫টায় বাজিতপুর বাজার বাশমহ থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত এই র্যালিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সালোক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুর সুযোগ্য সন্তান বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মামুন এবং জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা একে এম ফজুলুল হুদা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক নাদভি চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৌরভ আহমেদ, যুবদল নেতা সোহাগ পারভেজ, দিঘিরপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জুলাই যোদ্ধা ফজলে নুর রাব্বি এবং জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি বিলকিছ।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস আমাদের আন্দোলনের প্রেরণা। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।
র্যালিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগান নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
সারা শহরজুড়ে এক প্রাণবন্ত ও গণজাগরণের আবহ সৃষ্টি হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫/০৮/২৫ইং রোজঃমঙ্গলবার সকাল এগারো ঘটিকায় বাজিতপুর উপজেলার রেজু মার্কেট থেকে এই গণ মিছিল শুরু হয়। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাঁশ মহলে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাজিতপুর উপজেলা আমীর ডাঃমোঃইয়াকুত আলী,সাবেক আমীর আবু তাহের মাষ্টার,নায়েবে আমীর ফারুক আহাম্মদ,সেক্রেটারী ডাঃমোবারক উল্লাহ,কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ আব্দুল কাদির,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাজিতপুর উপজেলা সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ,পৌর সভাপতি হাজী আব্দুল হক,হিলচিয়া ইউনিয়ন সভাপতি আমিনুল ইসলাম,পিরিজপুর ইউনিয়ন সভাপতি ডাঃহাবিবুর রহমান,হালিমপুর ইউনিয়ন সভাপতি রুবেল খান,সরারচর ইউনিয়ন সভাপতি মাহবুবুর রহমান রাজন,গাজিচর ইউনিয়ন সভাপতি কাজী আব্দুল কাইয়ুম,দিলালপুর ইউনিয়ন সভাপতি শফিকুল ইসলাম,বলিয়াদী ইউনিয়ন সভাপতি ইন্জিনিয়ার জাহান মিয়া,দিঘিরপাড় ইউনিয়ন সভাপতি মাসুম মিয়া,কৈলাগ ইউনিয়ন, হুমাইপুর ইউনিয়ন সভাপতি লিয়াকত আলী খান,মাইজচর ইউনিয়ন সভাপতি হাজী আনোয়ার।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাজিতপুর উপজেলা সভাপতি হিজবুল্লাহ,সেক্রেটারী আরাফাত হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আগামী দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর চেতনা কে ধারন করে আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। অতি দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ করে একটি অবাদ সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকার এর প্রতি আহবান জানান। আগামী দিনের সংসদ কোরআনের সংসদ,আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সৎ,যোগ্য,লোকদের নির্বাচিত করার আহবান জানান।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে এসএসসি,দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থী ও জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাজিতপুর উপজেলা শাখা আজ
২ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার সরারচর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা মাদরাসার অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়
উপজেলা শিবিরের সভাপতি হিজবুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আরাফাত এর পরিচালনায় এতে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি হাসান আল মামুন,বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব,জেলা অফিস সম্পাদক মুজাহিদ বিল্লাহ,সরারচর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ মুফতি শফি উদ্দিন, বাজিতপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডাঃমোবারক উল্লাহ , বাজিতপুর উপজেলা মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক নুরুজ্জামান আশরাফ, সরারচর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান রাজনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ১২ জন জিপিএ ৫ সহ সর্বমোট ১০০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরে এক বর্ণাঢ্য ও শক্তিশালী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে এ মিছিলটি আয়োজিত হয়। মিছিলটি ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি থেকে শুরু হয়ে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে ভাগলপুর জারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজিতপুর রেলস্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৈলানপুর এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সিফাত ও হৃদয় নামের বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাজিতপুর-সরারচর আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।