close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

Suivant

সিরাজগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জমির বিরোধ, না কি রাজনৈতিক প্রভাব?

503 Vues· 07/09/25
Juwel Hossain
Juwel Hossain
38 Les abonnés
38
Dans Crime

⁣সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর সারটিয়া গ্রামে এক নারীর উপর নৃশংস হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটে যাওয়া এ হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনার ঝড় ওঠে।

ভুক্তভোগী নারী মোছা. জান্নাতী খাতুন (৩৮), স্থানীয় শাকিল তালুকদারের স্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, জমি ও টিন বদলানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের কয়েকজন যুবক তাকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। তবে তদন্তে জানা যাচ্ছে, এ ঘটনার পেছনে জমির বিরোধ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম এবং স্থানীয় সামাজিক দ্বন্দ্ব—সবকিছুই জড়িয়ে আছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে, নাঈম, অন্তর ও তাদের সহযোগীরা টিনের বেড়া ভেঙে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে এবং বাঁধা দিতে গেলে জান্নাতীকে বেধড়ক পেটায়। [তদন্তের পর জানা গেছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।]

অভিযুক্ত আলাউদ্দীন বলছেন ভিন্ন কথা। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, “জমির কাগজপত্র এখনো ঠিক হয়নি। এরই মধ্যে জায়গা বিক্রির বায়না নিয়ে একই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত।”

অর্থাৎ, ঘটনাটি হয়তো সরল পারিবারিক/জমিজটিলতা নয়; এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো স্বার্থ।

ভুক্তভোগী জান্নাতী স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, এ হামলার নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী শাহাদত হোসেন বাচ্চু। তিনি শুধু কলেজের শিক্ষকই নন, একইসাথে যমুনা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি এবং গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির সক্রিয় নেতা দাবী করেন তিনি। জান্নাতীর স্বজনদের দাবি, তার নির্দেশেই নাঈম-অন্তররা হামলায় অংশ নেয়।

তবে বাচ্চু এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে, নাঈম-অন্তর ও তাদের সহযোগীরা লাঠি নিয়ে জান্নাতীর ঘরের দিকে যায়। সেখানে বাঁধা দিলে জান্নাতীকে টেনে-হিঁচড়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভিডিওর এ দৃশ্যই ঘটনার ভয়াবহতা নিশ্চিত করছে।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুতিন বলেন, “ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে হামলার প্রমাণ মিলেছে। ওসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে—সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। কারণ ঘটনায় প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

চর সারটিয়ার এই হামলার ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন এখন একটাই—এটা কি কেবল জমিজটিলতা থেকে সৃষ্ট একটি মারপিট, নাকি এর আড়ালে প্রভাবশালী মহলের নির্দেশ ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে?

আইনের সঠিক প্রয়োগ না হলে এ ধরনের ঘটনা শুধু সামাজিক অস্থিরতাই বাড়াবে না, বরং গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় এবং অবিশ্বাস আরও গভীর করবে।

Montre plus

 0 commentaires sort   Trier par


Suivant