ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
রোগ সনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব: আনোয়ারায় চিকিৎসকদের সায়েন্টিফিক সেমিনারে
দেশে প্রতিবছর হাজার-হাজার নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কে না জানা এবং সময়মতো এই রোগ সনাক্ত না হওয়ার কারণে মৃত্যুর হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যথাসময়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ৫ শতাধিক চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা শাখার চেয়ারম্যান ও নাক, কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ইউএসটিসি সহকারী অধ্যাপক ডা. খন্দকার আবদুল্লাহ্ আল মাহমুদ সোহেল।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা শাখার ডাইরেক্টর এডমিন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী শামীম আল মামুন, গাইনীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. কামরুননেচ্ছা রোজী, নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুল ইসলাম, মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিসবাহুস সালেহীন, ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটোলজিস্ট ডা. সাহেদ আহম্মেদ, গ্রাম ডাক্তার সমিতির উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমান, সভাপতি ডা. কংসরাজ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল দাশ, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শাখার ব্যবস্থাপক রিপন বড়–য়া।
শাখার ম্যানেজিং পার্টনার মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শেভরণের পথচলা। শেভরন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষদের সেবা প্রদান করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবা সংযোজন করে যাচ্ছি। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই আমরা। কাউকে আর চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হবে না। এক ছাদের নিচে সব সমস্যার সমাধান। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়। এতে প্রয়োজন আনোয়ারার মানুষের ভালোবাসা।’