আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২২/০২/২০২৫ ০২:২৬পি এম
রমজানের আগে গাজার পাশে সংযুক্ত আরব আমিরাত: শত শত টন খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হলো
রমজানকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। শুক্রবার ফুজাইরাহ থেকে বিশেষ কার্গো বিমানে শত শত টন খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণসামগ্রী গাজায় পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, চলতি সপ্তাহেই ইউএই থেকে পাঁচটি কনভয় ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই কনভয়গুলোর মাধ্যমে মিশর হয়ে গাজায় পৌঁছায় ৭৩টি ট্রাকভর্তি ১,১৮৫ টনের বেশি খাদ্যদ্রব্য, তাবু এবং বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী।
ইসরাইলের ১৫ মাসের ধ্বংসাত্মক হামলায় ইতোমধ্যেই ৪৮,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রমজানের আগে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইউএই।
শুক্রবার ‘অপারেশন চিভালরাস নাইট ৩’-এর অধীনে ২৫৭ টন রমজানের খাদ্যসামগ্রী গাজায় পাঠানো হয়। এই ত্রাণ পাঠানোর কাজটি পরিচালনা করেছে হামাদ বিন মোহাম্মদ আল-শারকি ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কস এবং ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন (এফসিএ)।
ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাঈদ বিন মোহাম্মদ আল-রাকবানি বলেন, "ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। ইউএই নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি তাদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে।"
‘অপারেশন চিভালরাস নাইট’-এর আওতায় ইতোমধ্যেই ইউএই ৩৭,৩০০ টনেরও বেশি মানবিক সহায়তা ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তবে, রমজান মাস ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে ভুগছে লাখো ফিলিস্তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসা জরুরি। রমজানের এই পবিত্র মাসে অন্তত ন্যূনতম মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হলে বৈশ্বিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ এখনও প্রতিদিন লড়াই করছে বেঁচে থাকার জন্য। এই কঠিন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা তাদের জন্য সামান্য হলেও আশার আলো জ্বালাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।