রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৮/০২/২০২৫ ১১:৩১এ এম

গাজা দখলের পরিকল্পনায় ট্রাম্পের পাশে নেতানিয়াহু, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র নিন্দা

গাজা দখলের পরিকল্পনায় ট্রাম্পের পাশে নেতানিয়াহু, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র নিন্দা
গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গাজা পুনর্গঠন’ পরিকল্পনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

নেতানিয়াহুর দৃঢ় অবস্থান
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘একটি নতুন গাজা তৈরির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি আরও জানান, ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর এই উপত্যকাটি হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে না।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে ‘সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি’ বলে প্রশংসা করেন। তার এই মন্তব্যের একদিন পরই তিনি গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছা প্রস্থান’ করানোর পরিকল্পনা
নেতানিয়াহুর সমর্থনে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজও গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায় প্রস্থান’ করানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ অধিদপ্তর গঠন করা হবে, যা বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার আওতায় যারা গাজা ছেড়ে যেতে চাইবে, তারা বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ পাবে। এর মধ্যে সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে বিশেষ প্রস্থানের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র নিন্দা
এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন’ এবং ‘জাতিগত নির্মূলের প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব আরও শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে।

সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলো ইসরাইল
সোমবার ইসরাইলের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব দেশগুলো এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ