শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/০২/২০২৫ ০৫:০৩পি এম

ভারতের নির্বাচনে প্রভাব? যুক্তরাষ্ট্রের ২১ মিলিয়ন ডলারের খরচ নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

ভারতের নির্বাচনে প্রভাব? যুক্তরাষ্ট্রের ২১ মিলিয়ন ডলারের খরচ নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়
বিদেশি অর্থে ভোটার প্রভাবের আশঙ্কা, বিজেপিরও তীব্র প্রতিক্রিয়া!

ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, এই বিপুল অর্থ শুধু ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নয়, বরং এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। ফ্লোরিডার মায়ামিতে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প সরাসরি জো বাইডেন প্রশাসনকে এই বিতর্কিত অর্থ বরাদ্দের জন্য দায়ী করেন।

ট্রাম্প বলেন,

“ভারতের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য কেন আমাদের ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমি নিশ্চিত, তারা কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছে।”

ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে আসে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার মাত্র ২ হাজার ডলারের ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন,

“রাশিয়া মাত্র দুই হাজার ডলার খরচ করেও আমাদের দেশে নির্বাচনী প্রভাব ফেলতে চেয়েছিল। তবে ভারতের ক্ষেত্রে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচের মানে কি শুধু ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো?”

🇮🇳 ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনও সরগরম। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ করে বলেছে, এটি দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন,

“বিদেশি অর্থের মাধ্যমে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের সার্বভৌমত্ব।”

💰 অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণেও প্রশ্ন তুললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প আরও বলেন, ভারতের মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে মার্কিন পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা সত্ত্বেও, কেন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিতে হবে?

“ভারত আমাদের থেকে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আদায়কারী দেশগুলোর একটি। সেখানে আমাদের পণ্য রপ্তানি করা কঠিন। তবুও এত অর্থ কেন খরচ করা হলো?”

⚡ বিজেপি বনাম কংগ্রেস বিতর্ক
এই ইস্যুতে বিজেপি সরাসরি বিরোধী দল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি, বিদেশি অর্থ বরাদ্দের পেছনে কংগ্রেসের হাত থাকতে পারে, যা ভারতের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।

🔥 শেষ কথা:
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থ বরাদ্দ শুধুই ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য, নাকি এর পেছনে আছে লুকানো কোনো উদ্দেশ্য—তা নিয়েই জোর বিতর্ক চলছে।

📢 আপনার মতামত কী? বিদেশি অর্থে কি দেশের নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ