রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৬/০২/২০২৫ ০৭:০৮পি এম

হজযাত্রীদের জন্য নতুন ঘোষণায় শোরগোল, ‘হজযাত্রী প্রতি ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের পরিকল্পনা’!

হজযাত্রীদের জন্য নতুন ঘোষণায় শোরগোল, ‘হজযাত্রী প্রতি ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের পরিকল্পনা’!
গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনের প্রার্থী প্যানেলপ্রধান সৈয়দ গোলাম সরোয়ার এক বিতর্কিত ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হবে, এবং সেই অর্থটি হাবের সব সদস্যরা ভাগ করে নেবেন।

এই বক্তব্যটি শোনার পর হাবের সদস্যদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। হাবের সদস্যরা প্রকাশ্যে বলছেন, “আমরা আল্লাহর মেহমানদের সেবা করার জন্য এখানে আছি, এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। কিন্তু সৈয়দ গোলাম সরোয়ার যা পরিকল্পনা করছেন, তা একেবারেই অনৈতিক। হজযাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পরিকল্পনা মানে এই পবিত্র কাজকে কলুষিত করা।”

হাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “হাব সবসময় সিন্ডিকেট মুক্ত ছিল। গোলাম সরোয়ারের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা কখনও মেনে নেব না। তার এই ধরনের পরিকল্পনা আল্লাহ কখনোই সহ্য করবেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, “এভাবে হজযাত্রীদের প্রতি এমন অশোভন আচরণ শুদ্ধভাবে কোনও ধর্মীয় কর্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

হাবের সাবেক সহসভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমানও এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, “এ ধরনের পরিকল্পনা শুধু অনৈতিক নয়, বরং এটি হজ ব্যবস্থাপনার জন্য অশনিসংকেত। আমরা তা হতে দেব না।”

এদিকে, সিন্দবাদ টুরসের মালিক আলহাজ জামাল হোসেন বলেছেন, “বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা এতদিন সিন্ডিকেট মুক্ত ছিল। গোলাম সরোয়ারের সিন্ডিকেটের ঘোষণা শুনে আমি হতবাক। তিনি সবসময় ব্যবসায় সিন্ডিকেট করেন। এর আগে সৌদি ভিজিট ভিসা এবং মালয়েশিয়ার ভিসা সিন্ডিকেটে তার হাত ছিল।”

হাবের এই তীব্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, সৈয়দ গোলাম সরোয়ার তাঁর ঘোষণা থেকে একটুও পিছিয়ে আসেননি এবং দাবি করছেন, তাঁর পরিকল্পনার মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনায় আরও সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তবে, অধিকাংশ হাব সদস্য তাঁর এই দাবিকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য হিসেবে মনে করছেন।

এ বিষয়ে এখনো কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে এ ধরনের একটি ঘোষণা বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য যে কী ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা নিয়ে সব মহলে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ