close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

Susunod

ভারতে আজানকে বলা হচ্ছে ‘শব্দদূষণ’, সরানো হলো ১৫০০ মসজিদের মাইক

27 Mga view· 05/07/25
Juwel Hossain
Juwel Hossain
18 Mga subscriber
18

⁣ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি কি শুধুই কাগজে-কলমে? মুম্বাই শহরে প্রায় ১৫০০ মসজিদসহ নানা ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। উদ্দেশ্য? “শব্দ দূষণ রোধ!”— বলছে সরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে— সত্যিই কি এটি পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপ, নাকি সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ?

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস জানায়, ২ জুলাই, মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে মুম্বাই পুলিশ শহরজুড়ে লাউডস্পিকার অপসারণ অভিযান চালায়। এতে মসজিদের পাশাপাশি অন্যান্য উপাসনালয় থেকেও লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে বলে দাবি মুম্বাই পুলিশ কমিশনার দেবিন ভারতী।

তিনি জানান, “আমরা সকল ধর্মের উপাসনালয়ের লাউডস্পিকার সরিয়েছি। এ বিষয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আগেই আলোচনা হয়েছে।”

কমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, যেসব স্থানে লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে, সেসব স্থানে আর তা পুনঃস্থাপন করা যাবে না। শুধু ধর্মীয় উৎসবের সময় বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা যাবে, তাও নির্ধারিত শব্দসীমার মধ্যে।

তবে এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুসলিমরা। তাদের অভিযোগ, “এটি একতরফা পদক্ষেপ। হিন্দুত্ববাদী চাপের মুখে মুসলিমদের ধর্মাচরণ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।”

ধর্মীয় অধিকারকর্মীরা মনে করছেন, শুধু শব্দদূষণের অজুহাতে আজানের মতো ধর্মীয় রীতির উপর এই হস্তক্ষেপ ভারতের সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন পরিবেশ আইনের দোহাই দিচ্ছে, অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও দেখছেন অনেকে।

বিশেষ করে নির্বাচনী বছরে বিজেপির হিন্দু ভোটব্যাংক তুষ্ট করার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, মুম্বাইয়ের ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরজুড়ে অতিরিক্ত নজরদারি ও পুলিশ মোতায়েন করেছে।

Magpakita ng higit pa

 0 Mga komento sort   Pagbukud-bukurin Ayon


Susunod