আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০৩/০২/২০২৫ ০৪:২৭পি এম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে তলব
চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম)-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে চাঁদপুর কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দুদকের তলব ও অভিযোগের বিবরণ
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় দুদকের চাঁদপুর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ, নদী খনন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হলে তাকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
তদন্তের পেছনের কাহিনী
চাঁদপুর জেলা দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে সারাদেশে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির গোয়েন্দা প্রতিবেদন আসে।
তিনি আরও জানান, এ অভিযোগ তদন্তে ঢাকা থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রফিকুল ইসলামকে তলব করা হয়।
সশরীরে হাজির না হয়ে পত্রযোগে উত্তর
১৪ জানুয়ারি তাকে তলব করা হয় এবং ২ ফেব্রুয়ারি স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হয়ে ডাকযোগে তার জবাব পাঠিয়েছেন, যা দুপুরের পর দুদকের হাতে পৌঁছেছে।
দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ
দুদক জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা চাঁদপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সাবেক একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ও তদন্ত প্রক্রিয়া দেশের দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কীভাবে এই অভিযোগের মোকাবিলা করেন এবং তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।