বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঐতিহাসিক ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এ গণআন্দোলন ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ফেরার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস (২৪ জানুয়ারি) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
তারেক রহমান বলেন, “ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।”

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দুর্দমনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারেক রহমান বলেন, “গণআন্দোলন ক্রমে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়ে সামরিক স্বৈরশাসকের পতন নিশ্চিত করে। এটি শুধু একটি আন্দোলন ছিল না; বরং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র, বহুমত, চিন্তার স্বাধীনতা এবং মানুষের নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান
তারেক রহমান এই ঐতিহাসিক দিনে দেশবাসীকে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা হলো, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সম্মিলিত প্রয়াস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ঐতিহাসিক গুরুত্ব
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করেনি, এটি বাঙালি জাতির জন্য স্বাধীনতার দিকে যাত্রার মাইলফলক হয়ে আছে। তারেক রহমান এই দিনটিকে জাতীয় জীবনে অনন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করেন।

আজকের এই দিনে তার আহ্বান হলো, দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা এবং ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার ডাক
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান শুধু অতীত নয়, বর্তমানেও এটি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তি। তারেক রহমানের এই বার্তা এক নতুন উদ্যমে সবাইকে গণতন্ত্র এবং অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণা দেয়।