বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৩/০১/২০২৫ ০৮:৩৪পি এম

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন: দ্রুত নির্বাচন দাবি মির্জা ফখরুলের

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন: দ্রুত নির্বাচন দাবি মির্জা ফখরুলের
জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ আসাদ পরিষদের উদ্যোগে ’৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, "আমি বারবার বলছি, অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে নির্বাচনের সময়। কারণ আমরা দেখছি, কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারছেন না।"

তবে ঠিক কোন ক্ষেত্রে সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

সরকারের প্রতি আহ্বান
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, "আমি অনুরোধ করব, আশা করব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তারা কাজ করবে।"

তিনি আরও বলেন, "যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয়, তবে জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে না। আমাদের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা বলে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণ তাদের প্রত্যাশা থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে, নানা শক্তি তখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।"

দ্রুত নির্বাচনের দাবি
মির্জা ফখরুল কেন দ্রুত নির্বাচন চান, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, "নির্বাচনই জনগণের প্রতিনিধিদের বেছে নেওয়ার একমাত্র সুযোগ। ১৫ বছর ধরে জনগণ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়; এটি গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যম।"

তিনি বলেন, "যদি সংস্কার শেষে নির্বাচন করতে হয়, তাহলে কি আমরা চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করব? জনগণ কি তত দিন ধরে অধিকারবঞ্চিত থাকবে?"

প্রশাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা
সরকারি প্রশাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, "আমলাতন্ত্রের আগের ধারা এখনো রয়ে গেছে। সচিবালয়সহ বিভিন্ন স্তরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ। স্কুল-কলেজে শিক্ষার মান নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।"

তবে তিনি স্বীকার করেন, এসব সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব নয়। "তবুও আমরা পরিবর্তন চাই। জনগণ একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর প্রশাসন চায়," বলেন তিনি।

রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বও কম নয়। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ১৫ বছর লড়াই করছি। ক্ষমতায় যে দলই আসুক, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে।"

সমাপ্তি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য বিএনপির নির্বাচনের দাবিকে আরও জোরালো করেছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের গুরুত্ব পুনরায় সামনে এনেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ