বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৩/০১/২০২৫ ০৪:৩২পি এম

নির্বাচনের কথা বললে সমালোচনার মুখে পড়ি: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের কথা বললে সমালোচনার মুখে পড়ি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে, দ্রুত নির্বাচনের কথা বললেই তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তিনি বলেন, এটি একটি প্রাসঙ্গিক এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি বিষয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আসাদ পরিবার এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নিরপেক্ষ সরকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি

মির্জা ফখরুল বলেন, “দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছিলাম। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মতোই আমরা স্বৈরশাসকদের পরাজিত করেছি। কিন্তু এখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি।”

সাম্প্রতিক আন্দোলনের বিজয় ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি। সেই বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করি, যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা চায় কথা বলার স্বাধীনতা, তাদের সন্তানদের শিক্ষার নিশ্চয়তা এবং ন্যায়বিচারের সমাজ।”

নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের আহ্বান

মির্জা ফখরুল জানান, “আমি সবসময় বলি, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। আমি বিশ্বাস করি, বিগত ১৫ বছর আমরা সঠিক নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। জনগণ যেন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পায়, সেটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু যখন এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়, তখন সেটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়। এর ফলে জনগণ আবারও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।”

নির্বাচনী ব্যবস্থার দুর্বলতা ও সমাধান

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এখনও সঠিক নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। যারা রাজনীতি করি, আমরা চেষ্টা করি পরিবর্তন আনতে। কিন্তু সবসময় সফল হই না।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাসের আশা করে। আমরা তাদের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই কাজ করছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ