পরবর্তী আসছে

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সংবাদকর্মী।

22 ভিউ· 28/05/25
Kawsar Ahmed Duranta
Kawsar Ahmed Duranta
সাবস্ক্রাইবার
0
ভিতরে অপরাধ

⁣কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অবৈধভাবে ডিসিএফের মালামাল বিতরণ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সহ ইসলামী আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর আক্রমণ করা হয়।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণে ওজন কারসাজির ভিডিও ধারণ করায় ইসলামী আন্দোলন এর নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়।

⁣সোমবার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডিজিএফ"র মালামাল বিতরণের কার সাজির বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আনন্দ টিভি প্রতিনিধি সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম চুন্নুর উপর আক্রমণ করে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ।
এবং আরোও আক্রমনের শিকার হোন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব।
সাইফুল ইসলাম মিজবাহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা।
মুহাম্মাদ রুহুল আমিন সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা।
মাজহারুল ইসলাম দাওয়াহ ও প্রচার সম্পাদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা।
মাওলানা আশরাফ উদ্দিন বাবুল
দাওয়াহ ও প্রচার সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নোয়াবাদ ইউনিয়ন।


উক্ত আক্রমণের পরবর্তীতে করিমগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব সেক্রেটারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখা ।

অভিযোগে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরিব ও দুস্থ মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকার জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দিয়েছে। এই চাল বিতরণ সঠিকভাবে বন্টন হচ্ছে কি-না তার তদারকি করার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীদের দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী, করিমগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভিজিএফ চালের ১০ কেজির ওজন সঠিক আছে কি-না তা তদারকি করতে যান ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন থেকে চাল নিয়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজন মানুষের চাল মেপে দেখা যায়, ভিজিএফের ১০ কেজি চালের জায়গায় কাউকে ৭ কেজি আবার কাউকে ৮ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।

ওজন কারসাজির এই ঘটনাটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মো. হাবিবুল্লাহ হাবিবকে তার মোবাইল ফোনে ধারণ করতে দেখে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের হুকুমে ৮-৯ জন ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের উপর অতর্কিতে চড়াও হয়।

এ সময় তাদের ঘিরে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেচারী মো. হাবিবুল্লাহ হাবিবকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং তার নাকে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও রক্তাক্ত জখম এবং পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।

একজন সংবাদকর্মী এ ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করার সময় তাকেও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মারপিট করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিচার দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মানববন্ধন করে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দলটি।

আরো দেখুন

 0 মন্তব্য sort   ক্রমানুসার


পরবর্তী আসছে