ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ
র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ
র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ
এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উঠে এসেছে র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার আলেপউদ্দিনের নাম, যিনি ভুক্তভোগী এক ব্যক্তিকে জঙ্গি নাটকের শিকার বানিয়ে আটক করে নির্যাতনের পাশাপাশি তার স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার শুরু: গুম ও সাজানো জঙ্গি নাটক
২০১৫ সালের ৩০ মে, ঢাকার নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় এক ব্যক্তিকে। পরিবারের সামনে তাকে নির্যাতন করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযোগ করা হয়, তিনি জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। অথচ আটকের সময় তার বাড়ি থেকে কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বিকেলে আবার অভিযান চালিয়ে ডিবি কর্মকর্তারা তার বাসার নিচ থেকে বোমা সদৃশ বস্তু "উদ্ধার" করে, যা ভুক্তভোগীর মতে সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। আটকের পর তাকে আট দিন গুম করে রাখা হয়, এরপর মিথ্যা মামলা দিয়ে তিন দফায় ২৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করা হয়।
স্ত্রীকে তুলে নেওয়া ও ধর্ষণের অভিযোগ
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবারো এক নতুন দুঃস্বপ্ন নেমে আসে এই ভুক্তভোগীর জীবনে। এবার তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শ্যালককে তুলে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। তিন দিন আটক রাখার পর মুক্তি দেওয়া হলেও তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার আলেপউদ্দিন অনৈতিক ইঙ্গিত দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এরপর ভুক্তভোগী স্বেচ্ছায় র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু জেলে থাকা অবস্থায় তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে আলেপউদ্দিন।
জেল থেকে মুক্তি ও তৃতীয়বারের ধর্ষণ
তিন মাস জেল খাটার পর মুক্তি পেলেও আবারো তাকে র্যাব-১১ এর হেডকোয়ার্টারে ডাকা হয়। সেখানে স্বামীকে গেস্ট রুমে বসিয়ে রেখে আলেপউদ্দিন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এটি ছিল তার স্ত্রীর ওপর তৃতীয়বারের মতো যৌন নির্যাতন, যা পরে স্বামীর কাছে প্রকাশ করেন তিনি।
অবশেষে সত্য উদঘাটন
জেল থেকে বের হওয়ার পর ভুক্তভোগী জানতে পারেন, তার স্ত্রীকে এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে, যা তিনি জানতেন না। স্ত্রীর মানসিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হলে পরে তিনি পুরো ঘটনা জানতে পারেন এবং প্রকাশ্যে আনেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ংকর দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
🔴 আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন, যাতে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সবাই সচেতন হতে পারে।