লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
“অসুরবিনাশ আর শান্তির আগমনী বার্তায় উমা এলেন গজে চড়ে মর্ত্যলোকে"
সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী রূপে অশুভ শক্তির দমন, আর মাতৃস্নেহময়ী রূপে শান্তি ও মঙ্গলের বার্তা নিয়ে সেজেছে পূজামণ্ডপ।
‘গিরিরাজের মতো বাপ পাব, মেনকার মতো মা পাব, দুর্গার মতো সোহাগী পাব, কার্তিক-গণেশ ভাই পাব’
গ্রামবাংলার প্রাচীন ব্রতগানের এই সুরেই ধ্বনিত হচ্ছে শরতের আবহাওয়া । শরৎ এলেই সপরিবারে বাপের বাড়ি আসেন উমা। সেই আবাহনে সেজেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পূজা মণ্ডপগুলো।
চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, পূজামণ্ডপের কেন্দ্রে থাকেন মহিষাসুরমর্দিনী মা দুর্গা সিংহবাহিনী রূপে অসুর বধিনী। মায়ের ডানদিকে সিদ্ধিদাতা গণেশ তাঁর ইঁদুর বাহনে, আর বামে যুদ্ধদেবতা কার্তিক তাঁর ময়ূর বাহনে। দুই পাশে থাকেন সম্পদদাত্রী মা লক্ষ্মী (পেঁচা বাহনে) ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী (রাজহাঁস বাহনে)। দেবী দুর্গা যেন একই সাথে ভক্তদের কাছে যোদ্ধা এবং স্নেহময়ী জননী।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নাগরপুরের প্রতিটি পূজামণ্ডপেই এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। ভক্তদের ঢাকের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর আরতির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে গ্রাম থেকে শহর। ভক্ত শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়ে জমে উঠছে প্রতিটি মণ্ডপ।
এবারের পূজা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে আনন্দ, ভক্তি আর নিরাপত্তার আবহে শান্তির আহ্বান আর অশুভের বিনাশের বার্তা বয়ে আনছে শরতের দুর্গোৎসব।