লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
লালমনিরহাটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে সুপারিগাছ উধাও এর অভিযোগ তুলেছে নুর আলম
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আঃ মালেক গত ২১/০৮/২০২৫ইং
তারিখের ৩৫৪/২৫ নং পিটিশন দায়ের করেন । পিটিশনের ১৪৪/১৪৫ ধারামতে বিবাদী পক্ষকে নালিশী
জমিতে চাষাবাদের বাধাঁ দিয়ে যায় কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ জিন্নাত আলী। নালীশি জমিতে
শাক-সবজি সহ ৪০/৫০ টি সুপারি গাছ ছিলো । এমতবস্থায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা স্ব-রেজমিনে
তদন্তের আগেই বাদীপক্ষ (আঃ মালেক) গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে রাতের আধারে সুপারিগাছ
অপসরন করে ফেলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিবাদী নুর আলম, মেহেদী হাসান, নুর হাসান সহ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর
পক্ষে গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি জানান উক্ত নালিশী জমিতে ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখ সন্ধা অবধি সুপারিগাছ
ছিলো কিন্তু হটাৎ ১৯ই সেপ্টেম্বর সকাল বেলায় সুপারিগাছ উধাও হয়েছে। বাদীপক্ষের অর্থাৎ
আঃ মালেকের বড় ভাই আঃ খালেক এলাকাবাসীর সাথে একাত্তত্বা প্রকাশ করে বলেন উক্ত নালিশি
জমিতে সুপারি গাছ ছিলো কিন্তু আজ তা উধাও হয়েছে।
নালিশী জমির
বর্গাচাষী চাঁন মিয়া জানান ১৪৪/১৪৫ জারীকৃত নালিশী জমির দুটি দাগের ১টিতে আমি লাউ চাষ
করেছি জমির চারদিকে সুপারিগাছ লাগিয়েছিলো নুর আলম । অপর দাগে নুর আলমের মারাশাক সহ সুপারিগাছ ছিলো। আমি গত ১৮ই সেপ্টেম্বর
২০২৫ইং তারিখে লাউ তুলতে এসেছিলাম জমিতে তখন অবধি সুপারিগাছগুলো ছিলো।
ক্ষতিগ্রস্থ
নুর আলম জানান, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি যাহার দলিল নং ১২২০ তারিখ ২৪/০২/২০২১ইং মৌজার
নামঃ শাখাতী জেএল নং ০৩ বিআরএস খতিয়ান নং ১০৫৩
নামজারী খতিয়ান নং ৩১৮১ বিআরএস দাগ নং ৪১৮৬ জমি ৩১ শতকের মধ্যে ৭.২১ শতক, বিআরএস দাগ
নং ৪১৮৭ জমি ২৭ শতকের মধ্যে ৬.২৯ শতক যাহা আমার দখলে আছে। জমি ক্রয় করার পর আমি নিজ
দখলে নিয়ে চাষাবাদ করিতেছি। জমির ২টি দাগের একটি দাগ চাঁন মিয়ার নিকট বর্গা দিয়েছি
অপর দাগের আমি নিজেই চাষাবাদ করি। ২টি দাগের আইলে সুপারিগাছ লাগিয়ে ছিলাম যা একেকটা
৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা হয়েছিলো।
অপর দিকে আমার
চাচা আঃ মালেক ১০৮২ তারিখ ২৬/০২/২০০৫ ইং দলিল মূলে যাহার মৌজার নামঃ শাখাতী জেএল নং ০৩ বিআরএস খতিয়ান নং ১০৫৩ বিআরএস দাগ নং ৪১৮৬
জমি ৩১ শতকের মধ্যে ১৪.৪৩ শতক, বিআরএস দাগ নং ৪১৮৭ জমি ২৭ শতকের মধ্যে ১২.৫৭ শতক। ২৫৫৭
তারিখ ৩০/৫/২০০৫ ইং তারিখের দলিল মুলে যাহার
মৌজার নামঃ শাখাতী জেএল নং ০৩ বিআরএস খতিয়ান
নং ১০৫৩ নামজারী খতিয়ান নং ৩১৮১ বিআরএস দাগ নং ৪১৮৬ জমি ৩১ শতকের মধ্যে ৭.২১ শতক, বিআরএস
দাগ নং ৪১৮৭ জমি ২৭ শতকের মধ্যে ৬.২৯। অর্থাৎ
৪১৮৬ দাগে ২দলিলে মোট জমি ২১.৬৪ শতক, অপর দাগ ৪১৮৭ দাগে ২দলিলে মোট জমি ১৮.৮৬ শতক।
কিন্তু আমার
উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে ৪১৮৬ দাগে ২৭ শতক, আর ৪১৮৭ দাগে ১৩.৫০ শতক দাবি করে আঃ মালেক গত
২১/০৮/২০২৫ ইং তারিখে পিটিশন নং ৩৫৪/২৫ মুলে ১৪৪/২৪৫ ধারার মামলা দাযের করেন।
আমার চাচা আঃ মালেক নিজেই মামলা করে আদালতের নিশেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে রাতের আধারে সুপারিগাছ
উধাও করেছে।
আঃ মালেকের
সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য তার বাড়িতে যাই কিন্তু বাড়িতে পাওয়া না গেলে ফোনে যোগাযোগ
করার চেষ্টা করি। ফোনে আঃ মালেকের স্ত্রী জানান এসব বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।