কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বিনাপানিতে কিশোর গ্যাং দের বিএনপি এর নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
ঝালকাঠির কাঠালিয়াতে কিশোর গ্যাং এর চাঁদাবাজির অভিযোগ ও বালুর সিন্ডিকেট, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ দপ্তরি মইনুল ও সোহাগ এর বিরুদ্ধে
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিনাপানি বাজারস্থ মধ্য কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মইনুল হাওলাদারকে ঘিরে এলাকায় নানা অপকর্মের বিস্তারে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে সরকারি কোনো টেন্ডার বা নিয়মনীতি ছাড়াই এলাকায় বালুর অবৈধ ব্যবসা জোরালোভাবে চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দপ্তরি মইনুল ও ইদ্রিস এর ছেলে সোহাগ এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগে যে বালু তিন টাকা ঘনফুটে পাওয়া যেত, এখন তার দাম বেড়ে ছয় থেকে সাত টাকা হয়ে গেছে। পুরো ব্যবসাটি চলছে বিনা অনুমতিতে এবং একক নিয়ন্ত্রণে। বিশেষ করে বিনাপানি ও মধ্য কৈখালী, কানাইপুর , বলতলা বিভিন্ন স্থানে দিয়ে প্রতিদিন জাহাজের পর বালু তোলা ও বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ।
দপ্তরি মইনুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, সে এলাকায় চলমান সরকারি প্রকল্প, খাল খনন কিংবা ব্রিজ নির্মাণ কাজ থেকেও নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করছে। এমনকি পারিবারিক বিরোধে সালিশ করার নামে গোপনে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে একাধিক পরিবার অভিযোগ করেছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগটি এসেছে একটি হিন্দু পরিবার থেকে। তাদের দাবি, মইনুল ও তার সহযোগীরা তাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছে। ঘটনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এবং ন্যায়বিচারের আশায় রয়েছেন।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো দপ্তরি মইনুল হাওলাদার কখনও বিএনপি বা যুবদলের কোনো কমিটিতে না থাকলেও, বর্তমানে নিজেকে বিএনপির পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপটের সঙ্গে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ।
উপজেলার প্রভাবশালী জনৈক ছত্রছায়ায় দপ্তরি মইনুল এখন পুরো কৈখালী ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কথা বললে হুমকি, ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাগুলোর ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে কাঠালিয়ার সমাজ কাঠামো ধ্বংস হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এখন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এবং দপ্তরি মইনুল হাওলাদারের অপকর্মের বিচার দাবি করছেন।