close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

Avanti il prossimo

হিটলার যেভাবে পুরো দুনিয়ায় যুদ্ধ বাধিয়েছিল

4 Visualizzazioni· 04/03/25
Abdulmalek
Abdulmalek
5 Iscritti
5

⁣দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও ব্যাপক সংঘর্ষ। এই যুদ্ধের মূলে ছিল একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, অ্যাডলফ হিটলার। হিটলার কিভাবে নাৎসি দলের নেতা হয়ে পৃথিবীজুড়ে অশান্তি, দুঃখ-দুর্দশা এবং মৃত্যুর মহাকাল তৈরি করেছিলেন, তা আজও ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত। এই লেখায় আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা, এর কারণ, এবং এর পরিণতির বিশ্লেষণ করব।


প্রথম অধ্যায়: হিটলারের উত্থান ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব
অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৩ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হন এবং দ্রুত নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে শুরু করেন। তার লক্ষ্য ছিল "অর্ধেক জার্মানি" নয়, বরং "বিশ্বজয়ের"। হিটলার বিশ্বব্যাপী নয়া এক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চান, যেখানে জার্মানির প্রভাব প্রতিস্থাপন করা হবে। তার এই মনোভাব এবং পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত এবং ভয়াবহ। তাছাড়া, হিটলার প্রচারের মাধ্যমে জনমনে এক ধরনের হিংসাত্মক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন, যা তার পরিকল্পনার সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।


দ্বিতীয় অধ্যায়: যুদ্ধের আগুন জ্বালানো
হিটলার প্রথমে আক্রমণ করেন পোল্যান্ডকে, যা ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে। পোল্যান্ডের আক্রমণ এক ধরনের বৈশ্বিক অশান্তি সৃষ্টি করে, কারণ এতে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। এই আক্রমণের মাধ্যমে হিটলার দেখিয়ে দেন যে, তিনি পৃথিবীকে একটি ভিন্ন গতি এবং নির্দেশনায় পরিচালিত করতে চান।


তৃতীয় অধ্যায়: যুদ্ধের বিস্তার
এছাড়া, হিটলার দখল করে নেয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যার মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে, এবং নেদারল্যান্ডস। একই সময়, তার বাহিনী আক্রমণ করে রাশিয়ার বিশাল অঞ্চলে, যা পূর্ব ইউরোপে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করে। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল জার্মানির আগ্রাসন থামানো, কিন্তু হিটলার তার বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক শক্তির মাধ্যমে একের পর এক দেশকে জয় করতে থাকেন।


চতুর্থ অধ্যায়: যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ এবং যুদ্ধের মোড় পরিবর্তন
যুদ্ধের শেষের দিকে, ১৯৪১ সালে হিটলার সিদ্ধান্ত নেন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার। এই সময়, পের্ল হারবারে জাপানের আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে প্রবেশ করে। এতে যুদ্ধের প্রকৃতি এবং তার ফলাফল একেবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এটি ছিল যুদ্ধের মোড় পরিবর্তনের মুহূর্ত।


পঞ্চম অধ্যায়: হিটলারের পতন
এভাবে বিশ্বজুড়ে হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর, ১৯৪৫ সালে হিটলারের বাহিনী স্তব্ধ হয়ে পড়ে। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে সোভিয়েত বাহিনী আক্রমণ করলে হিটলার আত্মহত্যা করেন। এর ফলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং পৃথিবী এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে। তবে, হিটলারের কর্মকাণ্ড এবং তার অশুভ শক্তির প্রভাবে পৃথিবী দীর্ঘকাল জর্জরিত ছিল।


সাম্প্রতিক প্রতিফলন
আজও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর আলোচনা এবং বিশ্লেষণ অব্যাহত রয়েছে, কারণ এর প্রভাব কেবল ঐতিহাসিক নয়, বরং মানব সমাজের মধ্যে অগণিত পরিবর্তন এবং শিক্ষা নিয়ে এসেছে। হিটলারের আগ্রাসী মনোভাব, তার নেতৃত্বের স্টাইল এবং বিশ্বকে যুদ্ধের পথে ঠেলে দেওয়া আমাদের শেখায় যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব কতটা অপরিহার্য।

Mostra di più

 0 Commenti sort   Ordina per


Avanti il prossimo