লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বিশ্ব পর্যটন দিবসে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়া: অবারিত সম্ভাবনার দ্বীপ
নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া:
ঢেউয়ের গর্জন, দিগন্তজোড়া বালুকাবেলা আর সবুজ ঝাউবন— সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ কুতুবদিয়ার পরিচয় যেন প্রকৃতির রঙে আঁকা এক ক্যানভাস। কিন্তু এ সৌন্দর্য এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনায় তাই উঠে এলো কুতুবদিয়াকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি।
২৭ সেপ্টেম্বর, সারা দেশের মতো কুতুবদিয়াতেও পালিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে সোনারতরী ট্যুরিজম ও হোটেল সমুদ্র বিলাসের উদ্যোগে বের হয় র্যালি। পরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা দ্বীপের সৌন্দর্য, সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে খোলামেলা মতামত দেন। সভাপতিত্ব করেন সোনারতরী ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন।
আলোচনায় কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আরমান হোসেন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল-আযাদ, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম.এম. হাছান কুতুবী, প্রকৌশলী ফরহাদ মিয়া, সাংবাদিক এম.এ. মান্নান,অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
তাঁদের মতে, কুতুবদিয়া শুধু একটি দ্বীপ নয়; এটি এক সম্ভাবনার ভাণ্ডার। বিস্তৃত সমুদ্রসৈকত, ঝাউবন, সূর্যাস্ত আর সাগরের নোনাজল মিলিয়ে এখানে তৈরি হয়েছে এক অনন্য আবহ। পর্যটনের সব উপাদানই এখানে বিদ্যমান।
কুতুবদিয়া এখনো পর্যটন মানচিত্রে বড় করে উঠে আসেনি। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, যোগাযোগ সমস্যাসহ নানা কারণে এ দ্বীপের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে পুরোপুরি উন্মুক্ত করা যায়নি। বক্তারা মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ একসঙ্গে হলে সহজেই গড়ে তোলা সম্ভব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র।
এমন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার খুলবে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় দ্বীপ হবে প্রাণবন্ত। একই সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুন সম্ভাবনা, পর্যটন খাত পাবে এক গৌরবময় অধ্যায়।
কুতুবদিয়া শুধু সমুদ্রের বুকে ভাসমান একটি দ্বীপ নয়, এটি হতে পারে দেশের পর্যটন শিল্পের নতুন উজ্জ্বল ঠিকানা। বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সেই স্বপ্নকেই আবারও জাগিয়ে তুলেছে। এখন প্রয়োজন শুধু কার্যকর উদ্যোগ আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।