close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

הבא

‎বাপ্পি হ/ত্যা: থানা জানত, ব্যবস্থা নেয়নি—অভিযোগ নিহতের মায়ের

12 צפיות· 26/10/25
Nazrul Islam
Nazrul Islam
8 מנויים
8

⁣“কুতুবদিয়ায় এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলার এক মাস পর যুবক খুন”

‎‎নিজস্ব প্রতিবেদক | কুতুবদিয়া

‎কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মোহাম্মদ বাপ্পি (২৭) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত বাপ্পি উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মতি বাপের বাড়ির কায়মুল হুদার ছেলে।

‎রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৈয়ারবিল সেন্টার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

‎ঘটনার পর পুলিশ আকতার হোসেন (কৈয়ারবিল ১নং ওয়ার্ডের শফিকুর রহমানের ছেলে) নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে ঘটনার পর ধুরুং ঘাট দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাপ্পি বাড়ি থেকে বের হয়ে কৈয়ারবিল সেন্টারের আবদুল কাদেরের দোকানে নাস্তা করছিলেন। নাস্তা শেষে আকতার নামের এক ব্যক্তি তাকে ডেকে উত্তর দিকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর একটি টমটম গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে মাথায় ব্যান্ডেজ মোড়ানো এক ব্যক্তি নেমে বাপ্পির সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে বাপ্পি দোকানের দিকে দৌড়ে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মারুফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‎চিকিৎসক জানান, “বাপ্পিকে পৌঁনে ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা।”

‎প্রত্যক্ষদর্শী মামুন বলেন, “আমরা দোকানে বসে ছিলাম। দেখি বাপ্পি দৌড়ে এসে পড়ে গেলো। কাছে গিয়ে দেখি বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু ডাক্তার বলেন—সে মারা গেছে।”

‎নিহতের মা জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এনসিপি নেতা পরিচয়দানকারী রিদুয়ানুজ্জামান হেলালির হুমকির মুখে ছিলেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
‎“এক বছর ধরে হেলালি আমার ছেলেকে নানা হুমকি দিচ্ছিল। কয়েকবার সন্ত্রাসী দিয়ে মারধরও করিয়েছে। আগেই থানায় জিডি করেছি। গত ২৩ আগস্ট হেলালি ও আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে আমার ছেলে মামলা করেছিল। কিন্তু কুতুবদিয়া থানা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজ তারা আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি ছেলের হত্যার বিচার চাই।”

‎কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন,“ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চলছে।”

‎স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি মাছের ঘের দখল ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই বাপ্পি খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে তারা ধারণা করছেন।

‎এক মাস আগে এনসিপি নেতা রিদুয়ানুজ্জামান হেলালির বিরুদ্ধে বাপ্পির পরিবারের করা মামলার পর থেকেই এলাকায় অস্থিরতা দেখা দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

‎বাপ্পির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

‎পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

להראות יותר

 0 הערות sort   מיין לפי


הבא