ইসরাইলের আর কোনো শর্ত মেনে নেওয়া হবে না: হামাস
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় ইসরাইলের পক্ষ থেকে নতুন করে ‘আর কোনো চাহিদা বা শর্ত’ মেনে নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে হামাস।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস প্রতিনিধিদলের প্রধান ও সংগঠনটির ডেপুটি পলিটব্যুরো প্রধান খলিল আল-হাইয়্যা সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসরাইল ও হামাসের আলোচনায় মধ্যস্থতা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান এবং মিশরের গোয়েন্দামন্ত্রী আব্বাস কামেল।
হামাস নেতা হাইয়্যা বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় স্বাগতিক প্রধানমন্ত্রী ও মিশরের গোয়েন্দামন্ত্রীকে তার সংগঠনের অবস্থান জানিয়ে দেন।
হামাসের প্রতিনিধিদল শুরু থেকেই তাদের এ অবস্থানে অটল ছিল যে, পুরো গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার সব সেনা প্রত্যাহারের কথা যে চুক্তিতে থাকবে না, হামাস সে চুক্তি মেনে নেবে না।
খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ইসরাইলি জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে নিতে হলে গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন, উপত্যকায় অবাধে ত্রাণবহর প্রবেশ এবং নির্বিঘ্নে গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো মেনে নিতে হবে।
হামাস নেতা আরও বলেন, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সেটি সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে অন্য কারো মতামত চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
গত জুলাই মাসে হামাসের এসব শর্ত মেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করলে হামাস তা মেনে নেয়। তারপর থেকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নানা ধরনের নতুন নতুন শর্ত আরোপ করে যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজার ১২৫ জন। যার মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সূত্র: মেহের নিউজ ও আল-জাজিরা