ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকই নিয়েছে এস আলম গ্রুপ
দেশের বেসরকারি খাতের ইসলামি ব্যাংকের ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু এস আলম গ্রুপই নিয়েছে অর্ধেক বা ৮৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ বল মাসুদ।
তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপ ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছেন। তবে পুরো তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। গ্রুপটি সম্পদ অবমূল্যায়ন করে ঋণ বের করে নিছে। ইতিমধ্যে তার সম্পদ নতুন করে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ঋণের বিপরীতে যেসব জামানত রয়েছে তা দিয়ে কাভার হবে না। তাই জামানতের বাহিরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বের করার জন্য আইন মন্ত্রণলায়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার সময় ২৩০০ কোটি টাকা শর্টে ছিল। তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশা করি এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক গ্রাহকের এতোদিন টাকা তুলতে যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের পর আর হবে না। কারণ গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণ জমা হয়েছে তার চেয়ে বের হয়েছে কম। নিট ব্যালেন্স থাকতেছে।
এস আলমকে সহযোগিতা করেছে বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা নিচের দিকে কর্মকর্তা এখনই সরাতে চাচ্ছি না। কারণ নিচে এখন হিট করলে সব ভেঙে পড়বে। ইতিমধ্যে উপরের কিছু সরানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব সরানো হবো। আইন অনুযায়ী সবার ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ছাড়ব পাবে না। ভুল প্রক্রিয়ায় কাউকে সরানো হবে না।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। তিনটি পর্যায়ে এ রোডম্যাপ করা হয়। প্রথমত নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুঁজে বের করা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া। দ্বিতীয়ত ২০২৫-২৬ সাল দেয়া হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। তৃতীয় ২০২৭, ২৮ ও ২৯ সাল এগিয়ে যাওয়ার বছর।