বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল। খাদ্য অধিদফতর এই চাল আমদানি করেছে, যা দেশের খাদ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চাল আমদানির বিস্তারিত

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম জানান, জি টু জি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এই চাল বহন করেছে 'এমভি এটিএন ভিক্টরি' নামের জাহাজ।

অন্যদিকে, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল। 'এমভি বিএমসি প্যানডোরা' জাহাজে করে এই চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

খালাস কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু

খাদ্য অধিদফতরের উদ্যোগে আমদানি করা এই চাল দ্রুত খালাস করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ইমদাদ ইসলাম। খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে এই চাল দ্রুত গুদামে সংরক্ষণ করা যায় এবং সুষ্ঠু বণ্টন করা সম্ভব হয়।

খাদ্য নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব

বিশ্লেষকদের মতে, এই চাল আমদানি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই চাল বাজারে আসলে দাম স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। খাদ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।

এদিকে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও চালের সরবরাহ বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমদানিকৃত চালের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।