আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৭/০১/২০২৫ ০৫:২৪পি এম
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে হাসনাত আব্দুল্লাহ: কি হয়েছিল সেই রাতে?
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সংঘর্ষের সময় তার উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য থেকে উঠে এসেছে এক উত্তাল রাতের চিত্র।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় রোববার রাতে। সংঘর্ষ থামাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরেন এবং বিভিন্নভাবে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এক ভিডিওতে হাসনাত আব্দুল্লাহকে শিক্ষার্থীদের শান্ত হতে অনুরোধ করতে শোনা যায়। তিনি বারবার বলতে থাকেন, “একটা ছেলেও আসবা না।”
টিয়ারশেলের ধোঁয়া আর উত্তপ্ত পরিস্থিতি
টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ঢেকে যায়। সাংবাদিকদের লাইভ বর্ণনায় জানা যায়, ধোঁয়ার কারণে হাসনাত আব্দুল্লাহ চোখ খুলতে পারছিলেন না। তাকে লক্ষ্য করে অনেক শিক্ষার্থী স্লোগান দেন, যেমন ‘ভুয়া’ এবং অন্যান্য অবমাননাকর মন্তব্য।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সাথে কথা বলছেন তিনি। আবার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দ্রুত কোথাও হেঁটে যাচ্ছেন তিনি, শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ তখনও তার হাত ধরে আছেন।
হাসনাতের প্রতিক্রিয়া অজানা
রাতভর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চললেও, হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিনিধিদের মতামত
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কিন্তু হাসনাত স্যার এসে আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
অন্যদিকে, আন্দোলনের একজন সমর্থক বলেন, “হাসনাত স্যার হয়তো পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের থামানো তখন কঠিন ছিল।”
অস্থিরতার প্রতিফলন
এই ঘটনার পর থেকে সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন সময়ের ব্যাপার। হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রতি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এবং তার প্রতিক্রিয়ার অভাব একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শেষ কথা
এই ঘটনা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, বরং সমগ্র শিক্ষাঙ্গনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং পরিস্থিতি শান্ত রেখে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করা প্রয়োজন।
আরও খবরের জন্য সঙ্গে থাকুন।