আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৭/০১/২০২৫ ১২:১৭পি এম
ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে জরুরি সভা ডেকেছেন ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে এক জরুরি সভা ডেকেছেন ঢাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভাটি আজ, ২৭ জানুয়ারি, দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাবি ভিসি কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো তথ্য
রোববার দিবাগত রাতে ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ জরুরি সভায় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তার পটভূমি
এর আগে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এবং টেকনিক্যাল মোড়ে অবরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে তাদের বৈঠকে অশোভন আচরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। প্রায় চার ঘণ্টার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সড়ক ত্যাগ করেন।
জরুরি সভার প্রয়োজনীয়তা
সাম্প্রতিক এই আন্দোলন ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে জরুরি এই সভা ডেকেছেন ঢাবি ভিসি। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া, আন্দোলনের কারণ এবং এর সমাধানের উপায় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এই সভা থেকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আলোচনার বিষয়বস্তু
সভায় মূলত নিচের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে:
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা ও সমাধানের উপায়।
প্রো-ভিসির আচরণের অভিযোগ নিয়ে করণীয়।
সাত কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন।
চলমান আন্দোলন নিরসনে সমাধান প্রস্তাব।
শেষ কথা
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ঢাবি এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সমন্বয়হীনতার একটি ইঙ্গিত দেয়। এ সভা সেই সমন্বয় ফিরিয়ে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান এবং তাদের আস্থা পুনরুদ্ধারে ভিসি এবং সংশ্লিষ্ট সবাই কীভাবে এগিয়ে যান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।