লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
কর্ণফুলীর পশুর হাটে ঘূর্ণিঝড় ফনি, দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ
২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ সময়ে জন্ম নেওয়ায় শখ করে গরুর নাম রাখা হয়েছে ফনি। শান্ত স্বভাব আর চঞ্চল গরুটির মালিক বরিশাল জেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল সালাম বেপারি।
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মইজ্জ্যেরটেক পশুর হাটে ৩৫ মন ওজনের গরুটি নিয়ে এসেছেন তিনি। আবদুল সালাম বেপারী ফনি'র দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা।
তবে এ হাটে ১ লাখ টাকায় ৫ হাজার টাকা হাসিল আদায়ে অনেকটায় ক্রেতা শূণ্য হাট। ঈদের আর দুইদিন বাকি থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই হাটে নেই ক্রেতার দেখা। অনেক বেপারি অসল সময় পার করছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। এমনটায় বলছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে আসা বেপারিরা।
বেপারি আবদুল সালাম বেপারী বলেন, তিনি ছয় বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি পালন করে বড় করেছেন। স্বভাবে শান্ত প্রকৃতি ও ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ সময়ে জন্ম নেওয়ায় শখ করে গরুর নাম রাখা হয়েছে ফনি। হাটে তুললে গরুটি দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। সেই সঙ্গে দূরদূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি কিনার জন্য। ১০ লাখ হাঁকানো হয়েছে। তবে ঈদের আগেই কাঙ্ক্ষিত দামে গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাম ধরে ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফনি নড়েচড়ে ওঠে। মাথাটা দোলাদুলি করতে থাকে। গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুট। বদনজর থেকে বাঁচাতে কপালে দিয়েছেন কালো টিপ। ফনিকে ঘাস বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খাওয়াতে হয় বলেও জানান তারা।
গরুটি দেখাশুনা করছেন তার ছেলে শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুটি স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায় তবে বর্তমানে গরমের কারণে কিছুটা কম খাবার খাওয়াচ্ছি। যত্ন করে লালন পালন করা হয়েছে। সবসময় এটা ফ্যানের নিচে থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করাতে হয়।
nam ar pailo na