কর্ণফুলী/ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটে পারাপার, ভেঙে আহত যাত্রীরা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জুলধা মাতব্বার ঘাটে যাত্রী পারাপাড়ের ঘাট ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঘাটের দায়িত্বরর্তরা। সোমবার সকালে ঘাটে এঘটনাটি ঘটে। এসময় ইজারাদার ও যাত্রীদের তাদের উদ্ধার করে।
আহত যাত্রী পোশাক শ্রমিক মো. তাজু উদ্দিন বলেন, প্রতিনিয়ত এ ঘাট দিয়ে কারখানায় যাতায়ত আমাদের। আজ সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বোটে উঠার আগে ঘাট ভেঙে নদীতে পড়ে গুরুতর আহত হই আমরা ৭ থেকে ১০ জনের মত। সকলে ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় চাকরি করেন। এসময় ঘাটে থাকা ইজারাদার ও যাত্রীদের সহযোগিতায় আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ করব দ্রুত ঘাটটি সংস্কার করার জন্য।
গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে ও যাত্রী এবং ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ঘাট দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার বিদেশযাত্রী, হজযাত্রী, ইপিজেডের কারখানার কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক, বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজারো চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নদী পারাপার করেন। এ ঘাটের ইজারা দেয় সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে ঘাটের কোন সংস্কার কাজ না করায় বিভিন্ন সময়ে ঘটে দুর্ঘটনাও।
পোশাক শ্রমিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময়ে ঘাট কর্তৃপক্ষ টুকটাক নিজেরা সংস্কার করলেও কিছুদিনপরই আবার ভেঙে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। জোয়ারের সময়ে কোনো রকমে যাত্রীরা পার হলেও ভাটার সময় পুরো ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় আমাদের।
জুলধা লাইফবোট ও সাম্পান মাঝি মালিক সমবায় সমিতির সদস্য ও ইজারাদারের প্রতিনিধি সালেহ আহমেদ লালু সওদাগর বলেন, ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে সিটি কর্পোরেশনকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি ঘাটের অবস্থা সম্পর্কে। আমরা প্রায় তিন লাখ টাকায় সংস্কার কাজও করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আজ সকালেও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঘাট সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।