ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Top Videos
সিরাজগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে বিএনপির এক দৃঢ় স্তম্ভের নাম সাইদুর রহমান বাচ্চু। দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তিনি আজ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসে জেলা রাজনীতিতে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি, যা আজ অনেক তরুণ নেতার জন্য প্রেরণার উৎস।
সাইদুর রহমান বাচ্চু জন্মগ্রহণ করেন সিরাজগঞ্জ শহরের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে। তাঁর পিতা আবুল হোসেন ছিলেন সাধারণ ব্যবসায়ী। শৈশবে পিতার মৃত্যু তাঁকে জীবনের বাস্তবতার মুখোমুখি করে তোলে। জ্ঞানদায়িনী হাই স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করলেও, কৈশোরে রাজনৈতিক প্রেরণাই তাঁকে ছাত্র রাজনীতির দিকে টেনে নেয়।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে, প্রায় ১৯৭৯ সালে, তিনি ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৮৩-৮৪ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার হন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় রাজনৈতিক মামলায় আটক থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি—কিন্তু তাতে তাঁর মনোবল ভাঙেনি।
১৯৮৮-৮৯ এবং ১৯৮৯-৯০ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। একই সময়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় তিনি জেলা বিএনপির তৎকালীন নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে “বন্যার্ত তহবিল” গঠন করেন এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই মানবিক উদ্যোগই তাঁকে মানুষের কাছে “সংগ্রামী নেতা” হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ২০২৪ সালের বন্যাতেও তিনি মাঠে ছিলেন ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রমে। ছাত্র আন্দোলনের “শহীদ ১০” পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তিনি আবারও জনমানুষের আস্থা অর্জন করেন।
২০০৩ সালে তিনি মূল দল বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন এবং একই বছর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও দুঃসময়েও নেতাকর্মীদের পাশে থাকার মনোভাব তাঁকে জেলা রাজনীতির কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
২০০৯ সালের পর থেকে বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন, মিছিল ও সভা-সমাবেশে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০১৬ সালে তাঁকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাইদুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রায় ৬৮টি মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদসূত্রে জানা যায়। আন্দোলনের সময় তাঁকে বহুবার গ্রেফতার ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনী সময় তাঁর কিছু বক্তব্যই নেতাকর্মীদের উজ্জ্বিত করে রেখেছে। তিনি বলেছিলেন— “আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, কিন্তু আমরা পিছু হটব না। ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই থেকে বিএনপি কখনোই সরে দাঁড়াবে না।”
তবে রাজনৈতিক জীবন শুধুই সংগ্রামে পূর্ণ নয়; বিতর্কও তাঁকে ছাড়েনি। ২০২০ সালে এক বনভোজনে অংশ নেওয়ায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। তবু তিনি বলেন— “দলীয় শৃঙ্খলা আমার কাছে সর্বাগ্রে। মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দলের ঐক্যই আমার অঙ্গীকার।”
রাজনীতিতে নিজের অবস্থান নিয়ে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন— “আমি রাজনীতি করি জনগণের অধিকারের জন্য। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমার জীবনের লক্ষ্য। জনগণের শক্তিতেই বিএনপি টিকে আছে, জনগণের জন্যই আমরা সংগ্রাম করছি।”
সিরাজগঞ্জের তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁকে “বাচ্চু ভাই” নামে চেনেন। সহজ-সরল জীবনযাপন, সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সংগঠনপ্রেম তাঁকে করেছে জনপ্রিয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, “সিরাজগঞ্জ বিএনপি’কে টিকিয়ে রাখার পেছনে সাইদুর রহমান বাচ্চুর ভূমিকা মৌলিক। সংঘাতময় রাজনীতির মধ্যেও তিনি সংগঠন ধরে রেখেছেন।”
দলীয় পুনর্গঠন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি আরও সুসংগঠিত বিএনপি গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন “আমার লক্ষ্য পরিষ্কার— সংগঠনের ঐক্য, তৃণমূলের ক্ষমতায়ন এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার। রাজনীতি মানে ক্ষমতা নয়, জনগণের বিশ্বাস।”
একজন সংগ্রামী রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও সামাজিক কর্মী হিসেবে সাইদুর রহমান বাচ্চু আজ সিরাজগঞ্জ রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ত্যাগ, সাহস ও নীতির মিশেলে গড়া তাঁর রাজনৈতিক জীবন কেবল জেলা নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।
#sydurrahmanbachchu | #bnp | #sirajganj
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনী-২ আসনে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন অধ্যাপক ভিপি জয়নাল। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।
AQPlRfYef-IHVzkbMk8UfXcfNPApaeiXcbtWUoMmM3284HQlHLoWgv7bnx2GyBzfz38mxotiMVvhjTBvkzlE2KSWdjlKugh7JVJt
স্কুলের আয় ব্যয়ের হিসাব চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন উনি বিএনপি নেতা মিজান গ্রুপে সদস্য।
আচ্ছা মিজান গ্রুপ করলে কী হিসাব দিতে হয় না?
আমরা চাই আসলাম ভাই মনোনয়ন পাক
"ফেনীতে ছাত্র হত্যা মামলায় শাহজান সাজু সহ আওয়ামী শীর্ষদের জামিন বাতিলের দাবিতে আদালতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
নির্বাচনের আগে দলীয় প্রশাসনের অপসারণ চান ডঃ হামিদুর রহমান আযাদ এমপি। বুধবার ২২ অক্টোবর কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত মৎস্যজীবীদের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন ফ্যাক্টরির ওয়েস্টিজ মালামাল দখ*লের উদ্দেশ্যে এলাকায় গু*লি ছুড়ে আত*ঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে অবৈ*ধ অ*স্ত্র*সহ এক সন্ত্রা*সীকে গ্রে*প্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ভোর রাতে গাজীপুরের পুবাইল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে*প্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রে*প্তারকৃত আসা*মীর নাম জিয়া দেওয়ান ।
আ.লীগ কর্মী সন্দেহে ধানমন্ডি ৩২ থেকে একজনকে আটক করেছে ছাত্রজনতা
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বর্তমানে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি.আর.) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন করা হয়, ফলে ছোট দলগুলোও সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং একক দলের প্রভাব কমাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পি.আর. পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে জনগণের ভোট আরও মূল্যবান হবে এবং সব শ্রেণির মানুষের মতামত সংসদে প্রতিফলিত হবে।
হাজার মানুষের ভাতঘর ৮ ঘন্টা যাবত জ্ব-ল-ছে…রোবট দিয়ে ছিটানো হচ্ছে পানি #aakbor #mrakbor #iamaakbor
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে মুরগির লিটার পরিবহনকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
মই দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশের পর মিলল গোপন দরজার সন্ধান...
দুবাই গেস্ট হাউজে অভিযানের চিএ
কচুয়া চৌমুহনী মাদ্রাসায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।।
চাঁদপুরের কচুয়ায় চৌমুহনী মাদ্রাসায় চৌমুহনী সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও দিশারী মেডিকেল (নরমাল ডেলিভারি) সেন্টারের উদ্দোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার চৌমুহনী মাদ্রাসার অডিটরিয়ামে চৌমুহনী সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি চৌমুহনীবাজার মসজিদের খতিব প্রভাষক মাওলানা শহীদুল্লাহ খানের সার্বিক সহযোগিতায় সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ৩ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। কচুয়া দিগন্ত দিশারী ফাউন্ডেশন ও চৌমুহনী সমাজ কল্যাণ পরিষদের যৌথ তত্ত্বাবধানে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের সভাপতিত্ব করেন নব দিগন্ত সম্পাদক কচুয়া দিশারী স্কুল মাদ্রাসা ও দিশারী মেডিকেল পরিচালক, কচুয়া প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শাহাদাত হোসেন মুন্সী। স্থানীয় জামায়াত নেতা ও কচুয়া প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি মাওলানা আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় মেডিকেল ক্যাম্প উত্তর আলোচনায় প্রধান অতিথির বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাক্তার নাসরিন সুলতানা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আবু তাহের মুন্সি, কচুয়া আল ফাতেহা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মিয়াজী মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, শরিফুল ইসলাম, ফারুক মুন্সী, ফয়েজ মুন্সী, আব্দুল হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার রায়হান হোসেন, ও ছাত্র নেতা রামিম হোসেন, ডাঃ নাছরিন সুলতানা এমবিবিএস, পিজিটি গাইনী, ও চক্ষু ডাঃ সাগর চন্দ্র রায়। মেডিকেল ক্যাম্পে সার্বিক সহযোগিতা করেন, আসিফ মাহমুদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর,, ওয়ালী উল্লাহ মীর, হোসনেয়ারা বেগম, আমিনুল ইসলাম মীর স্থানীয় ছাত্র শিবির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে স্থানীয় এতিমখানা শিক্ষার্থী, বয়স্ক পুরুষ মহিলা শিশুসহ সকল শ্রেণীর রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। এতে উপস্থিত সকলের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং দিশারী মেডিকেলের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
হাজার মানুষের ভাতঘর ৮ ঘন্টা যাবত জ্ব-ল-ছে…রোবট দিয়ে ছিটানো হচ্ছে পানি #aakbor #mrakbor #iamaakbor
কালিগঞ্জ হতে ভেটখালি রাস্তার সংস্কারের
কাজের জন্য রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, “বাংলাদেশে যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হতো, তাহলে আমাদের নাগরিকদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো না। অথচ দেশের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি সামান্য অসুস্থ হলেই সিঙ্গাপুরে চলে যান।” তিনি আরও বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে সেবা মান, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে— তবেই সাধারণ মানুষ দেশের ভেতরে মানসম্মত চিকিৎসা পাবে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এশিয়া মহাদেশের একমাত্র সৈকত থেকেই সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখা যায়
চিকিৎসা পেশার ব্যস্ততা ছাপিয়ে সবুজে মুগ্ধ ডা. আখিনুজ্জামান নিপু
পড়াশোনাকে আনন্দময় করে তুলতে এবং বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ সৃষ্টি করতে সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক অভিনব আয়োজন—‘ফান-ডে’। বিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি হয়নি এমন কোমলমতি শিশুদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে শহীদ মডেল স্কুল।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের মুজিব সড়কস্থ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় “Read With Fun” শীর্ষক এই অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেয় এলাকার অসংখ্য শিশু ও অভিভাবক।
অনুষ্ঠানে শিশুদের হাস্যরসাত্মক কৌতুক, গান, ছড়া, ছবি আঁকা, ও শিক্ষামূলক খেলার মাধ্যমে শেখানো হয় অক্ষর, সংখ্যা ও প্রাণীর নাম। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল শিশুদের হাসি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
শহীদ মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো—শিশুরা যেন বিদ্যালয়কে ভয় না পায়। তারা যেন বুঝতে পারে পড়াশোনা খুব সহজ ও আনন্দদায়ক একটি বিষয়। বিদ্যালয়কে ভালোবাসতে শেখানো এবং ছোট বয়স থেকেই পড়ার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। গানে গানে ছড়া শেখানো, চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে অক্ষরের সাথে পরিচয় করানো, প্রাণীর নাম শেখানো—সবকিছুই আনন্দঘনভাবে। আমাদের লক্ষ্য কোনো শিক্ষার্থীকে শুধু নিজেদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো নয়, বরং তাদের মোবাইলের আসক্তি থেকে বইয়ের দিকে ফিরিয়ে আনা।”
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই “ফান-ডে” কর্মসূচি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিনই অংশ নিচ্ছে নতুন নতুন শিশু ও তাদের অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অনেকেই জানান, এমন আনন্দঘন আয়োজন শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বই, ছড়া, ছবি আঁকা ও খেলাধুলার মেলবন্ধনে শিশুরা শেখার আনন্দ পাচ্ছে যা ভবিষ্যতে তাদের শিক্ষাজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে শিক্ষায় নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শহীদ মডেল স্কুল। স্থানীয় শিক্ষাবিদরাও মনে করছেন, এই ধরণের উদ্যোগ দেশের অন্যান্য বিদ্যালয়েও গ্রহণ করা হলে শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি পাবে এবং প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
#shahidmodelschool | #sms | #sirajganj
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স কাঠেরপুল এলাকায় মিলন বিবি (৫৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মরদেহটি বেডসিটে মুড়িয়ে খাটের নিচে ফেলে রাখা হয়।
নিহতের গ্রামের বাড়ি জেলার বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, কয়েকদিন আগে তারা নোয়াখালী বেড়াতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার বিকালে প্রতিবেশীরা ফোন করে জানায়, তাদের বাসার দরজা খোলা এবং ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পরে তারা বাসায় ফিরে খাটের নিচে বেডসিটে মোড়ানো তার মায়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
তানজিনা আরও জানান, তাদের কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে অর্থ সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই কেউ সুযোগ পেয়ে তার মাকে হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।