আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৩/০১/২০২৫ ০৪:৩৪পি এম
ট্রাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু
অভিবাসন সমস্যার কঠোর সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে তিনি দক্ষিণ সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপ তার অভিবাসন নীতির কঠোর অবস্থানকে আরও সুস্পষ্ট করেছে।
সীমান্তে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ সীমান্তে এক হাজার সেনা এবং নৌবাহিনীর ৫০০ সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে সেনারা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, তারা সরাসরি আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। সীমান্তে কাজ করার জন্য এই বাহিনীকে দুটি সি-১৭ এবং দুটি সি-১৩০ বিমান, হেলিকপ্টারসহ বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর পদক্ষেপ
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট সেলেসেস জানান, সীমান্ত রক্ষায় সেনাদের সহযোগিতায় পাঁচ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সামরিক বিমান দিয়ে তাদের দ্রুত সীমান্ত থেকে সরানো হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ প্রতিহত করা প্রশাসনের অগ্রাধিকার। দক্ষিণ সীমান্তে আরও দেড় হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
লেভিট আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসন সমস্যাকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, "যদি কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে, তবে তাদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।"
ট্রাম্পের বার্তা: অবৈধ প্রবেশকারীদের জন্য কঠোর সতর্কতা
ট্রাম্প স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, "যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করবে, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে, গ্রেপ্তার করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।" তিনি অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমাদের সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাও করো না।"
জনগণের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার
ট্রাম্পের মতে, এই পদক্ষেপ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তার প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস করবে না।
এই সাহসী সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।