Juwel Hossain
|Les abonnés
Vidéos aimées
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১ ঘটিকার  দিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের গোয়ালজানী গ্রামের রামাইডাঙ্গা বিল থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সুঘাট ইউনিয়নের গোয়ালজানী গ্রামের সাবা (৮) নামের এক শিশু তার বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি জলাপাই গাছ থেকে জলাপাই পাড়তে গিয়ে বিলে লাশটি দেখতে পায়। পরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
ধানের শীষে ভোট মানে গণতন্ত্রের পক্ষে সিদ্ধান্ত— মির্জা মোস্তফা জামান 
. 
#mirzamostofa | #bnp | #sirajganj
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর সারটিয়া গ্রামে এক নারীর উপর নৃশংস হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটে যাওয়া এ হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনার ঝড় ওঠে। 
 
ভুক্তভোগী নারী মোছা. জান্নাতী খাতুন (৩৮), স্থানীয় শাকিল তালুকদারের স্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, জমি ও টিন বদলানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের কয়েকজন যুবক তাকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। তবে তদন্তে জানা যাচ্ছে, এ ঘটনার পেছনে জমির বিরোধ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম এবং স্থানীয় সামাজিক দ্বন্দ্ব—সবকিছুই জড়িয়ে আছে। 
 
ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে, নাঈম, অন্তর ও তাদের সহযোগীরা টিনের বেড়া ভেঙে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে এবং বাঁধা দিতে গেলে জান্নাতীকে বেধড়ক পেটায়। [তদন্তের পর জানা গেছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।] 
 
অভিযুক্ত আলাউদ্দীন বলছেন ভিন্ন কথা। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, “জমির কাগজপত্র এখনো ঠিক হয়নি। এরই মধ্যে জায়গা বিক্রির বায়না নিয়ে একই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত।” 
 
অর্থাৎ, ঘটনাটি হয়তো সরল পারিবারিক/জমিজটিলতা নয়; এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো স্বার্থ। 
 
ভুক্তভোগী জান্নাতী স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, এ হামলার নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী শাহাদত হোসেন বাচ্চু। তিনি শুধু কলেজের শিক্ষকই নন, একইসাথে যমুনা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি এবং গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির সক্রিয় নেতা দাবী করেন তিনি। জান্নাতীর স্বজনদের দাবি, তার নির্দেশেই নাঈম-অন্তররা হামলায় অংশ নেয়। 
 
তবে বাচ্চু এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।” 
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে, নাঈম-অন্তর ও তাদের সহযোগীরা লাঠি নিয়ে জান্নাতীর ঘরের দিকে যায়। সেখানে বাঁধা দিলে জান্নাতীকে টেনে-হিঁচড়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভিডিওর এ দৃশ্যই ঘটনার ভয়াবহতা নিশ্চিত করছে। 
 
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুতিন বলেন, “ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে হামলার প্রমাণ মিলেছে। ওসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 
 
তবে তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে—সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। কারণ ঘটনায় প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 
 
চর সারটিয়ার এই হামলার ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন এখন একটাই—এটা কি কেবল জমিজটিলতা থেকে সৃষ্ট একটি মারপিট, নাকি এর আড়ালে প্রভাবশালী মহলের নির্দেশ ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে? 
 
আইনের সঠিক প্রয়োগ না হলে এ ধরনের ঘটনা শুধু সামাজিক অস্থিরতাই বাড়াবে না, বরং গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় এবং অবিশ্বাস আরও গভীর করবে।
জনগণের আস্থা আমাদের রাজপথের শক্তি- জামায়াত সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম 
. 
#jamaat_e_islami | #zahidul | #secretary
বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর বাজারের সরকারী খাস জায়গার সব দোকান ভাংলেও বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে জামায়াত ইসলামীর অফিন
বগুড়া- ৫ (শেরপুর-ধুনট) আসন থেকে আমাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে- বিএনপি নেতা মাহবুবার রহমান
প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হলে ৫ বছর মানুষের চাকরগিরি করে যাবো- বিএনপি নেতা ভিপি আয়নুল হক
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান 
 
# #sirajganj #সিরাজগঞ্জ #police #দুদক
মা*ম*লা থাকলেও গ্রে*ফ*তা*র করছে না পুলিশ- শ্রমিকদল নেতা বাবু
✅✅✅প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে পটুয়াখালীর গলাচিপার আমরান। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে আমরানের মা ন্যায়বিচার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টিসি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। 
Amran from Patuakhali in Galachipa committed suicide after alleged betrayal in love. In a press conference, his mother demanded justice and issuance of Transfer Certificate (TC) from the concerned institution.
হোমনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি 
 
নিজস্ব প্রতিবেদক এর তথ্য ও ভিডিও চিত্রে বিস্তারিত 
 
কুমিল্লার হোমনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। 
 
গত ১৮ আগস্ট ২০২৫ সোমবার দুপুরে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পুলিশের।  
 
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আক্তার হোসেন এর সাথে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র আমজাদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান, মৃত রেহমান মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন, মৃত গফুর মিয়ার পুত্র অদুদ মিয়া, নুরু মিয়ার পুত্র প্রিন্সের সাথে অনেক দিন ধরে শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। সেই শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুর আনুমানিক ১.৩০ মিনিটের দিকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দা, ছুরি, লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে অর্তকিত ভাবে আক্তার মিয়ার বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এবং তাদের মারধর করলে চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ও আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। 
 
এসময় হামলাকারীরা বিল্ডিংয়ের থাইগ্লাস ভাঙ্গিয়া ৭ হাজার টাকা এবং ঘরে ডুকে স্ট্রীলের আলমারীর তালা ভেঙ্গে ড্রয়ার থেকে ৯০ হাজার টাকা ও সোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া আনুমানিক ৩০ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এ বিষয়ে আক্তার এর স্ত্রী রাশিদা বাদী হয়ে ওই দিনই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 
 
মামলার বাদী রাশিদা বলেন, বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র আমজাদ, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান, মৃত রেহমান মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন, মৃত গফুর মিয়ার পুত্র অদুদ মিয়া, নুরু মিয়ার পুত্র প্রিন্সের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। সেই শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুরে আমাদের বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায় তারা। এবং ঘরে ডুকে ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ লুটপাট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। আমাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি নজু মিয়ার স্ত্রী শারমিন, মানিক মিয়ার স্ত্রী সুজনা, কাশেম এর পুত্র মজিবর, সফিকুল ইসলাম সাফির পুত্র মিজানুর রহমান মির্জা, মৃত মুনছর আলীর পুত্র আরফত আলীসহ আরও লোকজন এগিয়ে আসলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের নিকট আমরা এর সঠিক বিচার চাই। 
 
আক্তার মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন দুপুরে তারা আমার বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায়। এবং ঘরে ডুকে ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ লুটপাট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। আমি এর সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নে ছোনকা গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। সে দীঘ4র্6দিন চরমোনাই আন্দোলন ভবানীপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বত4র্6মানে সে বগুড়া জেলা জাতিীয়তাবাদী সাইবার দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক । তিনি ভিন্ন দলের নেতা হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করে যাচ্ছেন। বিএনপির নীতিনিধ4র্6ারকগণ জরুরীভাবে পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নিব4র্6াচনে ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করবে ।
দেশ পরিচালনায় নাগরিকের ভাবনা, শান্তি চায় সাধারণ মানুষ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বগুড়ার রাজনীতিতে ত্যাগী নেতাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর-ধুনটের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য এক নাম— জানে আলম খোকা। 
 
মরহুম গাজিউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান খোকা ছাত্রদলের মাধ্যমে ১৯৮০-৮১ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। অল্প সময়েই সাংগঠনিক দক্ষতা, কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা ও জনগণের আস্থার জায়গা দখল করে নেন তিনি। দল গঠন, কর্মী ধরে রাখা এবং তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিলো অনন্য। 
 
১৯৯১ সালে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শেরপুর-ধুনটে তার জনপ্রিয়তা অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। তখন প্রচলিত একটি কথা ছিল— “শেরপুরের বিএনপি মানেই খোকা, আর খোকা মানেই বিএনপি।” তার আহ্বানে হাজারো নেতাকর্মী মাঠে নেমে আসতেন। দুঃসময়ে তিনি যেমন ছিলেন সবার পাশে, তেমনি বিজয়ের সময়ও ছিলেন অগ্রভাগে। 
 
২০০১ সালে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে শুরু করে ২০০৮ সালে বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়া— সর্বত্রই খোকা প্রমাণ করেছেন তিনি ভোটারদের আস্থার প্রতীক। পৌরসভা নির্বাচনে একাধিকবার জয়লাভও তার জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর বহন করে। 
 
তবে রাজনৈতিক জীবনে বারবার বহিষ্কারের মুখোমুখি হয়েছেন খোকা। সর্বশেষ ২০২১ সালের পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কারের গ্লানি তার জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, খোকা দলে না ফিরলে শেরপুর-ধুনটে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে। 
 
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও শেরপুর পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন— “জানে আলম খোকা শেরপুর-ধুনটে মাটি ও মানুষের সাথে মিশে গেছেন। বহু ত্যাগ শিকার করে আজ তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন।” 
 
শেরপুর উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ বলেন— “খোকা ভাই আমাদের সাহসের প্রতীক। রাজনীতিক পরিবার থেকে উঠে আসা এই নেতাকে দলে ফিরিয়ে এনে মনোনয়ন দিলে বিএনপির সর্বোচ্চ অর্জন হবে এই আসনে।” 
 
শেরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য হাসানুল মারুফ শিমুল বলেন— “খোকা ভাই নিঃসন্দেহে তৃণমূলের আস্থাভাজন নেতা। তার জনপ্রিয়তা অনেক নেতার চেয়ে আলাদা। এজন্যই ২০০৮ সালে তার আবেদনেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল এবং তাকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছিল।” 
 
যুবদল ও ছাত্রদলসহ তৃণমূল নেতাদের প্রত্যাশাও একই। তারা মনে করেন, দলে বিভাজন ভুলে খোকাকে ফিরিয়ে আনলে বিএনপি এই আসনে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে। 
 
নিজের রাজনৈতিক যাত্রা ও বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে জানে আলম খোকা বলেন— “গ্রুপ পলিটিক্স এবং হাইব্রিড নেতাদের কোন্দলের ফাঁদে ফেলা হয়েছে আমাকে। আমি দলের কাছে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আবেদন করেছি। আল্লাহ ভরসা।” 
 
তিনি আরও বলেন— “আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে এসেছি। মৃত্যু পর্যন্ত বিএনপির একজন সক্রিয় সৈনিক হয়ে থাকতে চাই।” 
 
শেরপুর-ধুনুটের সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল কর্মীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন— জানে আলম খোকাকে যদি দলে ফিরিয়ে আনা হয়, তবে তিনি শুধু বিএনপির ভোটব্যাংক পুনর্গঠিত করবেন না, বরং জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবেন। 
 
বর্তমানে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তিনি। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দিন গুনছেন— কবে প্রিয় খোকা ভাই দলে ফিরবেন, হাতে তুলে নেবেন ধানের শীষ, আর শেরপুর-ধুনটের রাজনীতিতে নতুন আশার আলো জ্বালাবেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে মাঠে নেমেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টায় শহরের বড়বাজার ও এসএস রোড এলাকায় সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, দোকানদার, ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে প্রায় পাঁচ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়। 
 
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামানের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন ইসলাম খান, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাকিম সাজু, জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম উদ্দিন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম মিন্টু, সহ-প্রচার সম্পাদক জিন্নাহ সরদার, বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম, মো. শাহিন রেজা প্রমুখ। 
 
এছাড়া আরও অংশ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকাশ খন্দকার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তাইবুল হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোহেল রানা হামিদ, জাকির হোসেন, জাসাস নেতা আরিফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক নেতা হানিফ, মো. বাবলু, মো. মাসুদ, যুবনেতা রিপন, অলি প্রমুখ। 
 
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তারা সর্বদা মাঠে থাকবেন। ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে মুক্ত করার আহ্বান জানান তারা।
ছোনকা বাজরের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা স্থগীতের আবেদন করেছে দোকানদাররা
বগুড়ার শেরপুর ছোনকায় অবস্থিত আব্দুল মোনেম কোম্পানীর কর্মচারীরা চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবীতে গেইটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছে । উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি।
আমরা গণআন্দোলনের লোক চাই, পুরাতন দরকার নাই: রিক্সাচালক
রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, জনগণের পাশে থেকে তাদের আস্থা অর্জন করা। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় এমন একজন নেতার নাম বারবার উঠে আসছে, যিনি কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব হিসেবে তৃণমূলে দীর্ঘদিনের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হক। 
 
ভিপি আয়নুল হকের রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় ছাত্রজীবন থেকেই। রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে তিনি বিএনপির আদর্শকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। ছাত্ররাজনীতির সেই সময় থেকেই তিনি ত্যাগ, সাহস এবং নেতৃত্বের কারণে সহপাঠী ও কর্মীদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। 
 
৯০ দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপির নানা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে। এ সময়ের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম তাকে গড়ে তোলে একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতায়। 
 
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও যখন বিরোধীদলের নেতারা নানা বাধার মুখে পড়ছিলেন, তখন ভিপি আয়নুল হক বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থার এই ফলাফল আজও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচ্য। 
 
চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে ওঠেন জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। 
 
২০১৩ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি কারাবরণ করেন। দমন-পীড়ন ও মামলার মধ্যেও দল ও জনগণের পাশে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তার প্রতি মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করে। 
 
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান মৃত্যুবরণ করার পর এখন বিএনপির পক্ষ থেকে যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভিপি আয়নুল হকের বিকল্প নেই। 
 
চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সামা সরকার বলেন, “আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের সময় ভিপি আয়নুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।” 
 
রায়গঞ্জ পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান দুদু শেখ বলেন, “ভিপি আয়নুল হক এখন রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসীর রাজনৈতিক আশার প্রতীক।” 
 
এছাড়াও রায়গঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরে আলম পালো, ধানগড়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ইউয়নিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামিদ হাসান সরকার, ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, “এ এলাকার জনগণ তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।” 
 
ভিপি আয়নুল হক বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে জীবন বাজি রেখে জনগণের পাশে থাকব। মনোনয়ন পেলে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।” জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি চাই আমাদের প্রিয় নেতা সিরাজগঞ্জ- ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, শ্রদ্ধাভাজন মৃত. আব্দুল মান্নান ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। 
 
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক প্রবীণ ভোটার বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি গ্রামের রাস্তা করেছেন, মসজিদ-মাদ্রাসায় সহযোগিতা করেছেন। মনোনয়ন পেলে আমরা প্রাণভরে তাকেই ভোট দেব।” 
 
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা হিন্দু মানুষ, আমরা চাই একটু শান্তি আর চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ। ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা কিছুই পাইনি। আয়নুল ভাই আমার প্রতিবেশি, আমরা চাই তিনি সংসদ সদস্য হয়ে আমাদের আরও সাহায্য করুন।” 
 
চান্দাইকোনা পাবনা বাজারের কেন্দ্রীয় মন্দিরের পুরোহিত শ্রী গোপিনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিগত সরকার কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল দিয়েছে কিন্তু আমরা গরীব মানুষ আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা চাই আয়নুল ভাই এমপি হয়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি নজর রাখুন। ভোটে দাড়ালে আমরা আয়নুল ভাইকেই ভোট দিব। 
 
এই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কণ্ঠে স্পষ্ট—ভিপি আয়নুল হক কেবল রাজনীতিবিদ নন, তিনি তাদের জীবনের অংশ। মানুষের সুখে-দুঃখে তার নিরলস উপস্থিতি সাধারণ ভোটারদের মনে এক গভীর আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  
 
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব সংলগ্ন শহরের চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। 
 
প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এনামুল হকের সঞ্চালনায় এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
