ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ হল
বিশ্বযুদ্ধ ১, যা ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলেছিল, এক ধরনের বিভীষিকাময় ঘটনা ছিল। তবে এই মহাযুদ্ধের পরিণতিতে পৃথিবীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, এই যুদ্ধের পর তার অর্থনৈতিক শক্তি আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। যুদ্ধের ফলস্বরূপ ইউরোপের শক্তি সঙ্কুচিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আসুন, এই ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে আলোচনা করি।
বিশ্বযুদ্ধ ১ এর শুরু ও তার পরিণতি
বিশ্বযুদ্ধ ১ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালে, এবং এর মূল কারণ ছিল ইউরোপের রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিরোধ ও জোটের সংঘর্ষ। যুদ্ধের প্রথম দুই বছর ইউরোপীয় দেশগুলোই এর মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল, কিন্তু ১৯১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করায় পরিস্থিতি বদলে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি প্রাথমিকভাবে যুদ্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্র শুধু যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করেই শেষ করেনি, বরং প্রচুর অর্থও ব্যয় করেছিল, যা যুদ্ধের পর তার অর্থনীতিকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে গড়ে তোলে।
১. প্রধান সরবরাহকারী দেশ:
যুদ্ধ চলাকালীন সময়, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় শক্তিগুলোর কাছে অস্ত্র, খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ সামগ্রী বিক্রি করেছিল। ইউরোপীয় দেশগুলো যখন যুদ্ধের তীব্রতায় কাত হয়ে পড়েছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রাথমিক সরবরাহকারী হয়ে ওঠে।
২. বাণিজ্যিক শক্তি:
যুদ্ধের পর, ইউরোপে ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ছিল অটুট। যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত তার বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে থাকে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩. ধারভাল ও ঋণ:
ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্র ঋণ সরবরাহ করেছিল, যা যুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হওয়া:
যুদ্ধের পর, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল অপ্রতিরোধ্য। দেশটি সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে তার অবস্থান নিশ্চিত করে।
কিছু কারণ যা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ করে তোলে:
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৃদ্ধি
বাণিজ্যিক বিপ্লব
নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার
বিশ্বযুদ্ধ ১ এর পরিণতি ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান:
বিশ্বযুদ্ধ ১ ছিল একটি যুগান্তকারী সময়। এর ফলে অনেক দেশই তাদের শক্তি হারায়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের পর শুধু তার অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করেনি, বরং পুরো বিশ্বের রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠে।
আজকের দিনে, যখন আমরা বিশ্ববাণিজ্য ও অর্থনীতি দেখি, তখন বুঝতে পারি যে বিশ্বযুদ্ধ ১-এর পরিণতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং এখনো তা বজায় রেখেছে।