আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০২/০১/২০২৫ ০৭:৫৪পি এম
কাজী নজরুল ইসলামকে অবশেষে 'জাতীয় কবি'র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন। ১৯৭২ সালের ৪ মে বাংলাদেশের মাটিতে আগমনের তারিখ থেকে তাঁকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে, যা সবার অবগতির জন্য প্রণীত।
অপেক্ষার অবসান
বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রত্যাশা করছিলেন। ১৯৭২ সালে তাঁকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার পর থেকেই এই দাবিটি জোরালো হয়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান এবং একুশে পদকে ভূষিত করায় জাতীয় কবি হিসেবে তাঁর মর্যাদা আরও সুসংহত হয়।
উল্লেখযোগ্য অবদান ও সম্মাননা
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে। যদিও অসুস্থতার কারণে তিনি সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পারেননি, বঙ্গভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এই উপাধি প্রদান করা হয়।
চিরস্মরণীয় কবি
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তাঁর সাহিত্যকর্ম, সংগ্রামী জীবন ও জাতির প্রতি অবদান তাঁকে জাতীয় পর্যায়ে অমর করে রেখেছে। এবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে সেই মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তাঁর প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার প্রকাশ।