close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

التالي

বকশীগঞ্জে তথ্য সংগ্রহ কালে সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিলেন ভাঃ চেয়ারম্যান।

5 المشاهدات· 22/06/25
Ratan Entiser
Ratan Entiser
مشتركين
0

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি,হেনস্থা ও প্রাণ
নাশের হুমকি দিয়েছেন বগারচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহেল রানা পলাশ।
শনিবার বিকালে রাস্তার কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ঘাষিরপাড়া
মন্ডলবাড়ি এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে চরম অশোভন আচরন করেন তিনি। এক পর্যায়ে
স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কবল থেকে উদ্ধার হন সাংবাদিকরা। পরেই
সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহারের প্রায় ২ মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনা ও
নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় রাত ১২ টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ
দিয়েছেন সাংবাদিক আল মুজাহিদ বাবু। বাবু দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার বকশীগঞ্জ
প্রতিনিধি। এই ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে
বগারচর ইউনিয়নের ঘাষিরপাড়া মন্ডলবাড়ি থেকে সামাদ হাজির বাড়ি পর্যন্ত সিসি
রাস্তার কাজ চলছে। নি¤œমানের ইট খোয়া দিয়ে রাস্তাটির কাজ করছেন চেয়ারম্যান
এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে
রাস্তার অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক এমদাদুল হক লালন,আল
মোজাহিদ বাবু, আমিনুল ইসলাম, বাঁধন মোল্ল্যাা ও ইমরান সরকারসহ বেশ কয়েকজন
সাংবাদিক। রাস্তার অনিয়মের ভিডিও চিত্র ধারন কালে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত
সেখানে ছুটেঁ আসেন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পলাশ। এসেই তিনি
সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী আচরন শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন,ক্যামেরা
বন্ধ করেন, না করলে দেখেন কি অবস্থা করি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের
অকথ্যভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি হুমকি দিয়ে
বলেন, আমার এই রাস্তার কাজের ক্ষতি হলে সাংবাদিকরা জীবন্ত ফিরতে পারবে না।
যান ভিডিও করেন,যা পারেন করেন পলাশ এসবে ভয় পায়না। আপনারা পারলে রাস্তার
কাজ দেখি কেমনে বন্ধ করেন,আমি পারলে করবো।
হেনস্থার শিকার সাংবাদিক এমদাদুল হক লালন বলেন,উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে চেয়ারম্যান বাধাঁ দেন। কোন কথা
না শুনেই তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারমুখী আচরণ করেন। ক্যামেরা
বন্ধ না করলে ভেঙ্গে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। তার বাজে আচরনে আমরা
হতভম্ব হয়ে পড়ি। পরে রাতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
বাঁধন মোল্ল্যা বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহ কালে হঠাৎ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
পলাশ এসে খারাপ আচরণ শুরু করেন। তিনি মারমুখী ছিলেন। উত্তেজিত হয়ে তিনি
বলেন, ক্যামেরা বন্ধ না করলে কেউ জীবন্ত ফিরতে পারবে না। তার আচরনে আমরা
ভীতসন্তস্ত হয়ে পড়ি।
বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ লায়ন বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানাচ্ছি। জুলাই পরবর্তী সময়ে এমন ঘটনা মেনে নেওয়ার মত না। চেয়ারম্যানের
বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি
জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন,অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া
হলে মানববন্ধন,প্রতিবাদ সভা,কলম বিরতীসহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহেল
রানা পলাশ বলেন,ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। এ জন্য আমি সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে দু:খ
প্রকাশ করেছি। আসলে আমার এমন আচরন করা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহম্মেদ
বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত
সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

أظهر المزيد

 0 تعليقات sort   ترتيب حسب


التالي