কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
শর্টস সৃষ্টি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সালুয়া ইউনিয়নের ডুমরাকান্দা বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব অষ্টমীস্নানে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। ভগবানের কৃপা ও পাপমুক্তির আশায় শিশু ও বৃদ্ধরাও বাদ যায়নি স্নানোৎসব বরণ করতে।
আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত কুলিয়ারচর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অষ্টমী স্নানোৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুলিয়ারচর উপজেলা শাখা ও পৌর শাখা।
অষ্টমী স্নান পরিদর্শন করেন, কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম, সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাইয়ুম, সালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম বকুল, কুলিয়ারচর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পীযূষ কান্তি ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় দাস, কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দরা।
অষ্টমী স্নান উপলক্ষ্যে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের ডুমরাকান্দা বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট বসে অষ্টমীর মেলা। মেলায় দোকানিরা নানা খেলনা, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। অষ্টমীর স্নানোৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের কুলিয়ারচর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পীযূষ কান্তি ঘোষ জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গীতাপাঠ, মাল্যজপ, ধ্যান, প্রসাদ বিতরণ, হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যদিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানোৎসব সম্পন্ন করেন।



মতলব উত্তরে বরোপিট দখল করতে এসে
বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
শহিদুল ইসলাম খোকন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরোপিট (ফিসারী) দখল করতে এসে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৫ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া প্রধান বাড়ি সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বরোপিট আছে, যা এলাকার ৩০ জন লোক মিলে একটি সমিতি ঘটনা করে, ২০ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো।
২০০৯ সালে ঐ লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গনি প্রধান জোর করে সে একাই বরোপিট ভোগ করতো। কিন্তু ৫ আগষ্টেরপর আবার সবাই মিলে ঐ ৩০ পরিবার ভোগ করতে চাইলে গনি প্রধান তাতে রাজি হয়নি। এই নিয়ে গত ৭ মার্চ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা মিলে ঐ ৩০ পরিবারকে ভোগ করার সিদ্ধান্ত দেয়। গনি প্রধান স্থানীয়দের কথা অমান্য করে জোর করে আবার দখল, হামলা ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলী আরশাদের ছেলে আনিছ প্রধান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে গনি প্রধান ও মামুন মনিরের হুকুমে,গনির ছেলে ছেলে রাহাত, জাহিদ, উত্তর লুধুয়ার আকাশ ও জিহাদ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বরোপিটের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে এবং আরশাদ আলীর ঘরে হামলা, ভাংচুর, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটপাট করে।
আলী আরশাদের স্ত্রী জয়নব বেগম, তার ছেলে আনিছ ও মাহফুজ বলেন, গণি প্রধানের নির্দেশে তার দুই ছেলে রাহাত, জাহিদ, গজরার মামুন মনির ও উত্তর লুধুয়া থেকে লোক ভাড়া করে এনে আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে। ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে এবং ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে যায়। ককটেল বোমা নিয়ে এসে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং দুই বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে গনি প্রধান বলেন, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। পূর্বে আমি লিজ এনেছিলাম। বর্তমানে লিজ দেওয়া বন্ধ থাকায় নতুন করে লিজ আনতে পাড়িনি।
এ ঘটনার পর মতলব উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।