close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

উপসচিব পদে কোটা সংকট: সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বিশাল শোডাউন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রতিবাদে সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় জমায়েত উপসচিব পদে পদোন্নতির কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে বড় শোডাউন করেছে
প্রতিবাদে সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় জমায়েত উপসচিব পদে পদোন্নতির কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে বড় শোডাউন করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। কোটা বিতর্কের সূচনা জনপ্রশাসনে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা দাবি করেন, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারকে আলাদা করে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠা করা হোক। সচিবালয়ে শোডাউন ও দাবি দাওয়া আজ বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ক্যাডারের শতাধিক কর্মকর্তা সচিবালয়ে জড়ো হন। তাঁরা প্রথমে তিন নম্বর ভবনের নিচে জমায়েত হন এবং পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দোতলায় সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সচিবের প্রতিশ্রুতি সাক্ষাৎ শেষে সচিব জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠনের সঙ্গে পুনরায় বৈঠকের আয়োজন করা হবে। কমিশনের সুপারিশ ও ক্যাডারদের প্রতিক্রিয়া কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি। উপসচিব পদে ৫০:৫০ কোটা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে আলাদা রাখা। এসব সুপারিশের বিরুদ্ধে প্রশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা সোচ্চার হয়েছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিজেদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত থাকার দাবি জানান, অন্যদিকে প্রশাসন ক্যাডার দাবি করে, উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত সব পদ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দেওয়া হোক। ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর অবস্থান ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত এই পরিষদ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সভা করে। তারা কোটামুক্ত উপসচিব পুল এবং মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়েই মন্ত্রণালয় পরিচালনার দাবি জানায়। সভায় কর্মবিরতিসহ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্দোলনের ভবিষ্যৎ বর্তমানে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে কমিশনের নতুন সুপারিশে সমান ভাগ করার প্রস্তাব প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। জনপ্রশাসনে এই কোটা বিতর্কের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে উত্তেজনা বাড়ছে।
Keine Kommentare gefunden