পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অবরোধ কর্মসূচির পূর্ব মুহুর্তে পুলিশকে তথ্য দিয়ে পন্ড করার অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
জানা গেছে, নিজ দলের নেতা-কর্মীদের কার্যক্রমের তথ্য তিনি যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও জানা যায়, গতকাল রাতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব ও তার অনুসারীদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মিছিল সংক্রান্ত নির্দেশনা তিনি নিজের অনুসারীদের উদ্দেশ্যে একটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে দিচ্ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঐ গ্রুপের সদস্য ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল। তিনি প্রথমে মির্জাগঞ্জে প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করে এবং পরে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও ভিডিও রেকর্ড করে তা বিএনপি নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে সেই সূত্র ধরে পুলিশ ও বিএনপির লোকজন অভিযান চালাতে রাকিব মৃধার বড়িতে যায় এবং তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করেন ।
এছাড়া, উক্ত মেসেঞ্জার গ্রুপে সক্রিয় থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকেও পুলিশ খুঁজছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগ কর্মী সহ দলের অনেক নেতারা বলেন,
নিজ দলের সাথেই কেন এমন “গাদ্দারি” করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল। এটি কি কেবল গ্রুপিংয়ের ফল, নাকি এর পেছনে রয়েছে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য? নীজ দলের নেতা জুয়েলের এমন বিশ্বাসঘাতকতার ফলে পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক রাকিব মৃধা। ৫ আগস্টের পরবর্তীতেও সেই গ্রুপিংয়ের কারনে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং হয়রানি হচ্ছে।"



















