close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আকস্মিক পদত্যাগ, শুরু নতুন বিতর্ক!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর ফৌজদারি মামলার বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্
যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর ফৌজদারি মামলার বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক দিন আগেই দেশটির বিচার বিভাগ থেকে তাঁর এই পদত্যাগ নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আদালতে দাখিল করা এক নথি অনুযায়ী, গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জ্যাক স্মিথ আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার বিভাগ থেকে সরে দাঁড়ান। এই খবর সামনে আসার পর দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী ছিল মামলার অভিযোগ? জ্যাক স্মিথ ২০২২ সালে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলার দায়িত্ব পান। অভিযোগগুলো ছিল যথাক্রমে— ১. ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া। ২. সরকারি গোপন নথি সরানোর মতো গুরুতর অপরাধ। দুটি মামলাতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হলেও তিনি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত। পদত্যাগের কারণ কী? বিবিসির অংশীদার সিবিএস নিউজ গত নভেম্বরে একটি প্রতিবেদনে জানায়, নিজের কাজ শেষ হলে জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ ছাড়তে পারেন। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে তাঁর চাকরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা। ট্রাম্প নিজেও একসময় ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ স্মিথকে বরখাস্ত করবেন। স্মিথের তদন্ত এবং তাঁর পদত্যাগ নিয়ে চলমান বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে, যখন জানা গেল যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। বিচার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চালানো নিষিদ্ধ। নতুন বিতর্কের সূত্রপাত জ্যাক স্মিথের এই পদত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মিথের এই পদত্যাগ শুধু আইনগত বিতর্কই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প সমর্থকরা এটিকে তাঁদের নেতার বিজয়ের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তবে স্মিথের পদত্যাগের পর বিচার বিভাগ ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে গড়ে ওঠে, তা সময়ই বলে দেবে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।
Geen reacties gevonden


News Card Generator