close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: ৪৩ দেশের জন্য মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে কিছু দেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে পারে, আবার কিছু দেশের জন্য কঠোর শর্ত আরোপ ক..

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নতুন তালিকায় ৪৩ দেশ, কঠোর নিয়মের মুখে লাখো মানুষ!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে, যা ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলবে। নিউইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জারি করা হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের একটি অভ্যন্তরীণ তালিকা অনুসারে, দেশগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে— লাল, কমলা এবং হলুদ।

 লাল তালিকা: সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা!

এই তালিকায় থাকা দেশের নাগরিকরা কোনোভাবেই মার্কিন ভিসা পাবেন না। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে পারে। এই দেশগুলো হলো:
আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন।

 কমলা তালিকা: কঠোর ভিসা প্রক্রিয়া!

এই তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা পেতে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে পর্যটন ও শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে শর্ত কঠোর হতে পারে। এই তালিকায় আছে:
বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান, তুর্কমেনিস্তান।

 হলুদ তালিকা: সতর্কতা এবং সময়সীমা!

এই তালিকার দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে। যদি তারা মার্কিন সরকারের নির্ধারিত নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের লাল বা কমলা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, ক্যামেরুন, কঙ্গো, ডমিনিকা, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট লুসিয়া, জিম্বাবুয়ে।

 বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব!

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব দেশের লাখো নাগরিক মার্কিন ভ্রমণের সুযোগ হারাতে পারেন। অনেকেই শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন না, ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

 হোয়াইট হাউসের বক্তব্য:

মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।"

বিশ্বজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ এটিকে মার্কিন নিরাপত্তার অংশ বলে মনে করছে, আবার কেউ বলছে এটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। আপনার মতামত কী?

Nessun commento trovato