ট্রাম্প ২.০: বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের ‘নাক গলানো’ কি বন্ধ হবে?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের শুরুতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তীব্র আলোচনা ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এই ঘোষ
বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের শুরুতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তীব্র আলোচনা ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এই ঘোষণায় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও ভারতের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৎক্ষণাৎ অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন-ভারত অংশীদারির নতুন অধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি দেন। ২০ জানুয়ারি, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শপথ অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে তাকে দেখা যায়, যা ভারতের কূটনৈতিক প্রভাবের স্পষ্ট চিত্র। ইতোমধ্যে জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিরোধ বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে ছিল। দিল্লি শেখ হাসিনার সরকারকে ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল’ বলে বিবেচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ক্ষমতার নাটকীয় পালাবদল এই বিরোধকে আরও জটিল করে তুলেছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রনীতি ভারতের জন্য আশার সঞ্চার করেছে। ভারতের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলোর বিষয়ে আমেরিকার আগ্রহ কমবে এবং দিল্লি এ অঞ্চলে আবারো আগের মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। নতুন প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে? ট্রাম্পের অভিষেকের আগে দিল্লিতে এস জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সম্ভবত এক নতুন যুগের মুখোমুখি হচ্ছি। এবার আমেরিকা বিদেশনীতি নির্ধারণে নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে এবং অন্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করবে না।” ওয়াশিংটনে প্রথম বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশ ইস্যু তুলেছিলেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভারতীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের বিষয়ে নিস্পৃহতা দেখালে দিল্লি সেখানে নিজেদের প্রভাব সহজেই বাড়াতে পারবে। পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন যদি বাংলাদেশে কম মনোযোগ দেয়, তবে ভারতের জন্য এটি হবে কৌশলগত সুযোগ। বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তার করতে হলে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখাই হবে দিল্লির প্রধান কৌশল।
No se encontraron comentarios


News Card Generator