close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ট্রা ম্প থামতে চান না, তিনি আরও এগিয়ে যেতে চান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্পের ইরানে হামলার পর মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড়। বিভক্ত রিপাবলিকান দল, বেড়ে গেছে তেলের দাম, জেগে উঠেছে যুদ্ধশঙ্কা। ট্রাম্প বলছেন, থামার সময় এখন নয়!..

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ইরান হামলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল প্রতিক্রিয়া। এই হামলার পর রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরেই দেখা দিয়েছে ভাঙন, তেলের বাজারে লেগেছে আগুন, এবং মধ্যপ্রাচ্যে বেড়েছে অনিশ্চয়তা।

সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা উপসচিব ল্যারি কর্ব স্পষ্ট করে বলেন, “ট্রাম্প ইরানকে উসকে দিয়েছেন।” তিনি আলজাজিরাকে বলেন, “ট্রাম্পের আচরণে মানুষ ক্ষুব্ধ, কারণ তিনি কথার ভরসা রাখেন না। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরানকে সময় দিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথে হাঁটবেন। অথচ মাত্র দুই দিনের মাথায় চালালেন বিমান হামলা।”

এই ইস্যুতে রিপাবলিকান দলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে ভিন্নমত পোষণ করলেও, বেশিরভাগই ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান করছেন। ল্যারি কর্বের ভাষায়, “অনেকে একমত না হলেও সমর্থন করছেন, কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট এবং সামনে নির্বাচন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প বর্তমানে দ্বৈত অবস্থানে রয়েছেন। তিনি একদিকে হামলা চালিয়েছেন, অন্যদিকে কূটনৈতিক আলোচনার ইঙ্গিতও দিচ্ছেন। কিন্তু আসলে কী চান ট্রাম্প? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বলছেন, তারা ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেই থামছেন না। তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান আরও শক্ত করতে চান। কর্বের মতে, “ট্রাম্প এখন এগিয়ে আছেন, তাই থামতে চান না। বরং আরও ধ্বংসাত্মক কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এই অস্থিরতা ও আক্রমণাত্মক অবস্থান গোটা অঞ্চলকে উত্তপ্ত করে তুলছে। ট্রাম্পের নীতিকে ‘অচেনা ও বিপজ্জনক’ বলছেন বিশ্লেষকরা।

ইরানে মার্কিন হামলার পর পরই বিশ্ববাজারে তেলের দামে তীব্র উত্থান দেখা গেছে। ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই উভয়ের দামই ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৯.২০ ডলার, যা পূর্বের তুলনায় ২.২ শতাংশ বেশি। একই সময়, ডব্লিউটিআই-এর দাম ছিল ৭৫.৯৮ ডলার, যা ২.১ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারের বিশ্লেষক সংস্থা জাপানের এমইউএফজি ব্যাংক আশঙ্কা করছে, এ যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আরও ১০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বিশ্ব অর্থনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়— গোটা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্ত গোটা পৃথিবীতে এক নতুন অনিশ্চয়তার বার্তা দিচ্ছে। রিপাবলিকান দলে ফাটল, তেলের বাজারে উল্লম্ফন, এবং যুদ্ধাবস্থা— সব মিলিয়ে স্পষ্ট যে, ট্রাম্প থামতে চান না, বরং ইতিহাস গড়তে চান আরও একধাপ আগ্রাসনে।

Geen reacties gevonden