টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে বাংলাদেশে ব্রিটিশ অপরাধ সংস্থা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীত্ব হারানোর পর এবার এমপি পদ নিয়েও বিপাকে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে উঠা অর্থ
দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীত্ব হারানোর পর এবার এমপি পদ নিয়েও বিপাকে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে উঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA)-এর একটি বিশেষ দল। বাংলাদেশে গোপন বৈঠক, কী ঘটেছে সেখানে? ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, এনসিএ কর্মকর্তারা বাংলাদেশি দুর্নীতি তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন কী তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা নাকি নিশ্চিত করেছেন যে, তারা ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। টিউলিপের ব্যাংক হিসাব ও ইমেইল যাচাইয়ের পরিকল্পনা! প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব ও ইমেইলের তথ্য যাচাই করতে পারেন। এমনকি তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদেও ডাকতে পারেন তারা। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ! টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের চুক্তি করেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপও। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মধ্যস্থতা করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। ১০ বছরের জেল হতে পারে? তদন্তকারীদের মতে, যদি টিউলিপের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশে আরও তদন্ত চালানোর পরিকল্পনা ব্রিটিশ টিমের! এনসিএ কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও সমন্বয় করে যুক্তরাজ্যে বসেই তদন্ত চালানোর একটি পরিকল্পনা করছেন। তারা ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে কাজ করতে চান। এনসিএ কর্মকর্তারা এর আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে তারা অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করেন এবং বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দেন। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি কী হবে এবং তিনি এমপি পদ হারাবেন কিনা, তা নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली