রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তৃতীয় দিনের মতো চলছে আমরণ অনশন
গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষার্থী এই আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকার যতক্ষণ না তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিচ্ছে, ততক্ষণ তাদের আন্দোলন চলবে।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যৌক্তিক দাবি থাকা সত্ত্বেও সরকার তাদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং বিভিন্নভাবে আন্দোলনকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি সরকার তাদের দাবির প্রতি উদাসীন থাকে, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আর কোনো আশ্বাস শুনতে চাই না, আমরা চাই সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করুক।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের ব্যর্থ আলোচনা
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতে, ‘সরকার শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু বাস্তবসম্মত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।’
শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, এই আন্দোলন থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের দাবিটি ন্যায্য এবং যৌক্তিক। যদি আমাদের দাবি পূরণ না করা হয় এবং এই আন্দোলনের কারণে কেউ অসুস্থ হয় বা দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’
পরবর্তী কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেবলমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, তারা বাস্তব সিদ্ধান্ত চান।
পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে মোড় নেয়, সেটির দিকেই এখন সবার দৃষ্টি।
No se encontraron comentarios



















