close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তিন দেশ থেকে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েল!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চারদিকের আকাশ যেন লাল হয়ে উঠেছিল আগুনে। তিন দিক থেকে একযোগে ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে ক্ষেপণাস্ত্রের ঝড়—ইরান, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী এবং গাজার হামাস। গেল শনিবার রাত থেকেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ইসরা..

ইরানজুড়ে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় জ্বলতে থাকে তেহরানের শাহরান তেল স্থাপনা। ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা শহর। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও জবাব দিতে শুরু করে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহর।

এই সময়েই উত্তরের গাজা থেকে হামাস ছুড়ে মারে একের পর এক রকেট। আর ঠিক তখনই নতুন মাত্রা যোগ করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। রাতের আঁধারে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেয় ইসরায়েলের দিকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, হুতি ও ইরান সমন্বিতভাবে চালিয়েছে এই হামলা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে। হুতিরা জানায়, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ‘প্যালেস্টাইন-টু’ নামক হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা উচ্চ গতিতে আকাশ ছিন্ন করে ধেয়ে এসেছে ধ্বংস ডেকে আনতে।

গত এক সপ্তাহে এটি ছিল হুতিদের দ্বিতীয় আক্রমণ। এর আগে ১০ জুন তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের দিকে। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায় ইয়েমেনের হোদাইদা বন্দরে, যা হুতিদের নিয়ন্ত্রণে।

হুতিদের শীর্ষ নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন রুখে দেওয়া শুধু কোনো এক দেশের দায়িত্ব নয়, বরং এটি পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।” তিনি একসাথে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

 

গত দেড় বছর ধরে গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নিয়মিতভাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা। কিছুদিন যুদ্ধবিরতি থাকলেও, তারা আবার ফিরে এসেছে আগ্রাসী রূপে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator