close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

তীব্র দাবদাহে হালকা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি

Juwel Hossain avatar   
Juwel Hossain
রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা, ফিরে আসে স্বস্তির পরশ।..

দেশজুড়েই চলছে তীব্র দাবদাহ। উত্তরবঙ্গের জেলা সিরাজগঞ্জ যেন আরও বেশি গরমে পুড়ছে। গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ।

গত শনিবার (১১ মে) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর রোববার (১২ মে) দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

১১ মে (শনিবার) প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনে হালকা স্বস্তি এনে দেয় বিকেল ৫টার দিকে শুরু হওয়া ঝোড়ো হাওয়া এবং পরবর্তী বৃষ্টি। রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা, ফিরে আসে স্বস্তির পরশ।

জেলা শহরের পুরাতন জেলখানা ঘাটে ঘুড়তে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, যে গরম বাতাসের পাতাও নড়ে না। নদীর পাড়েও বাতাস নেই। ভেবে ছিলাম নদীতে বাতাসের কিছুটা শিতলতা মিলবে কিন্তু সেটাও মনে হচ্ছে সম্ভব নয়। গরম কমলে বেঁচে যায়।

রিকশাচালক ইসহাক আলী বলেন, সকাল থেকে এত গরম ছিল যে রিকশা চালানোই যাচ্ছিল না। বিকেলে ঝোড়ো হাওয়ার পর মনে হলো একটু শান্তি পেলাম।

শহরের সরকার প্লাজার দোকানি শামীম আহমেদ বলেন, দুপুরে এত গরম ছিল যে দোকানে মানুষই আসছিল না। বিদ্যুৎ না থাকায় কষ্ট আরও বেড়েছিল। বিকেলের বাতাসে কিছুটা ভরসা পেয়েছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও সামনের কয়েক দিনে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। তবে ১৩ মে থেকে সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ৭টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার। দুপুরে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

No se encontraron comentarios