close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তারুণ্যের ঢল, শৃঙ্খলার বার্তা! নয়াপল্টনে সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান জানালেন, ‘বিএনপিতে চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই।’ পাশাপাশি দিলেন যুব নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জোর দাবি। ব..

তারুণ্যের ঢল, শৃঙ্খলার শপথ: বিএনপিতে ‘চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই’ — বললেন তারেক রহমান

ঢাকা, ২৮ মে:
রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও একটি সুসংগঠিত বার্তা নিয়ে বিএনপি আবারও মাঠে নেমেছে। নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে জানিয়ে দিলেন এক নির্ভুল বার্তা— "বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই"

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিল বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। হাজার হাজার তরুণ নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমাণ করল, বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তরুণরাই।

দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়—সবার আগে বাংলাদেশ!"

তারেক রহমানের ভাষণে উঠে আসে জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর প্রতিফলন। তিনি স্পষ্ট বলেন—

“দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ… সবার আগে বাংলাদেশ।”

এই স্লোগান দিয়ে তিনি সমাবেশস্থলে থাকা নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে একযোগে এটি উচ্চারণের আহ্বান জানান। তাঁর মতে, এই স্লোগান এক নতুন যুগের সূচনা।

তরুণদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ

তারেক রহমান বলেন,

“আজকের এই তারুণ্যের সমাবেশ প্রমাণ করে বিএনপিতে সত্যিকার অর্থে তারুণ্যের নেতৃত্ব রয়েছে। যারা বলে বিএনপিতে তরুণ নেই, আজকের এই জনসমুদ্রই তাদের জবাব।”

লক্ষ লক্ষ তরুণ এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করেছে, তারা শুধু রাজনীতিতে নয়, আগামীর রাষ্ট্র গঠনের রূপকারও হতে প্রস্তুত।

দলীয় শৃঙ্খলায় জিরো টলারেন্স: “চাঁদাবাজ মানেই বহিষ্কার”

তারেক রহমান তাঁর ভাষণে দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে বলেন—

“যুবদল বা স্বেচ্ছাসেবক দলে কেউ অন্যায় করলে, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। আমরা নিজেরা বাদী হয়ে মামলা করেছি এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনেছি। বিএনপিতে চাঁদাবাজের কোনো স্থান নেই।”

এই বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে দলের ভেতরে শুদ্ধিকরণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হলো। তরুণদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায় বিএনপি।

জাতীয় নির্বাচন চান ডিসেম্বরের মধ্যেই

তারেক রহমান এ সময় নতুন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি পুনরায় জানান। বলেন—

“আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি জাতীয় নির্বাচন চাই। একটি সুস্থ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন চাই।”

তার বক্তব্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান চেয়ে, একটি গ্রহণযোগ্য ভোটের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে।

মানবিক বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন

তারেক রহমান তাঁর ভাষণের শেষাংশে বলেন,

“দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।”

এটি ছিল এক প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের আহ্বান, যেখানে যুব সমাজ নেতৃত্ব দেবে, দুর্নীতি-দখলবাজী-চাঁদাবাজী থাকবে না, এবং যেখানে জাতীয় স্বার্থ সবার উপরে।


 

বিএনপির এই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ছিল কেবল একটি রাজনৈতিক জমায়েত নয়—এটি ছিল একটি নৈতিক বার্তার প্রক্ষেপণ, একটি শৃঙ্খলার প্রত্যয় এবং একটি ‘মানবিক বাংলাদেশ’-এর অঙ্গীকার। তারেক রহমানের কণ্ঠে উঠে এসেছে একটি দলে শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির পথনির্দেশ। এখন দেখার পালা—এই আহ্বানে কীভাবে সাড়া দেয় বিএনপির কর্মীবাহিনী এবং কীভাবে পাল্টে যায় দেশের রাজনীতির চিত্র।

コメントがありません


News Card Generator