দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করার পর অবশেষে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাতে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বেন বলে বিশ্বস্ত দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব আনন্দ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাদের প্রিয় নেতা ফিরছেন, এই বিষয়টি দলের জন্য এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রধান শহরগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার উপস্থিতি দলের সাংগঠনিক শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অনেকেই মনে করছেন, তার আগমনে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এক নতুন গতির সঞ্চার হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে প্রথমে তার বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন এবং এরপর মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার ফেরা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই সফর নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সফর কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং জাতীয় রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হতে পারে।



















