ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৫
টানা ৪-৫ দিনের বর্ষণের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের কাঁচাবাজারে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকট এবং পরিবহন বিঘ্নিত হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষ করে মিরপুরের মতো এলাকায় সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন যে, পণ্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে এবং সেই মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের উপর চাপ ফেলছে।
### দামবৃদ্ধির তালিকা
ঢাকার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকা হয়েছে। বেগুন ৭০-৮০ টাকার পরিবর্তে ৯০-১০০ টাকা, টমেটো ৮০-১২০ টাকার পরিবর্তে ৯০-১৩০ টাকা, এবং করলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে পটোল, ঝিঙে ও ধুন্দুলের দাম ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, এবং কচুরমুখি ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
### বিক্রেতাদের বক্তব্য
বিভিন্ন সবজি বিক্রেতা ও পাইকাররা জানিয়েছেন যে, টানা বৃষ্টির ফলে যেসব এলাকা থেকে সবজি আসে সেসব এলাকার রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে এবং জলাবদ্ধতায় পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে, সরাসরি কৃষক ও পাইকারি বাজারের যোগসূত্রে ভাঙন এসেছে।
### বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের উদ্বেগ
### সারাংশ ও বিশ্লেষণ
মূল কারণ হিসেবে টানা বৃষ্টি ও সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে ফসল আনা-নেওয়া বন্ধ বা ধীরগতির হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে, যার ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। জনমত হচ্ছে যে, আয় বাড়েনি অথচ ব্যয় বেড়েছে; পুষ্টিকর খাবার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। নাগরিক উদ্বেগ হচ্ছে যে, বাজার মনিটরিংয়ে ঘাটতি থাকলে, এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে— যার প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টি নিরাপত্তায় মারাত্মক হতে পারে।
### করণীয় ও সুপারিশ
সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে কৃষক-খামারি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিং টিমের মাধ্যমে প্রতিদিন মূল্য তদারকি ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে। ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের জন্য কৃষি বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ মূল্য নির্ধারণ এবং কড়াকড়ি বাস্তবায়ন করতে হবে। গ্রাম-শহর সরাসরি সংযোগ বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে মধ্যস্বত্বভোগী কমে আসে।
### উপসংহার
সবজির দাম শুধু শহরবাসী নয়, গোটা দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলছে। দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ না হলে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে। বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, পরিবহন সুবিধা, ও কৃষকদের সাথে সরাসরি সংযোগই হতে পারে স্থায়ী সমাধান।
প্রতিবেদক: মোঃ আল আমিন