close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টাকার লোভে দেশের বি'রু'দ্ধে! ইরানের হয়ে গু'প্ত'চ'রবৃত্তিতে জড়িত দুই তরুণ ই'স'রা'য়ে'লি গ্রেপ্তার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই তরুণ ইসরায়েলিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। টাকার বিনিময়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নজরদারির মতো ভয়াবহ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছিল তারা। শুধু এটি..

ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই তরুণ ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রয় মিরাজহি ও আলমগ আটিলাস নামের এই দুই তরুণকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে স্পর্শকাতর কার্যক্রমে যুক্ত করে তেহরান।

ইসরায়েলের খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম দ্যা জেরুজালেম পোস্ট জানায়, একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির মাধ্যমে এই দুই তরুণের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। প্রথমদিকে সহজ কিছু কাজের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করা হলেও ধীরে ধীরে তাদের দায়িত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে নির্দেশ আসে—ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের বাসভবনের সামনে স্পাই ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই নজরদারির প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল মন্ত্রী কাৎজকে হত্যার ছক বাস্তবায়ন। এই ঘটনায় গোটা রাষ্ট্রজুড়ে নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

ছোট কাজের বিনিময়ে বড় বিপদ

এই প্রথম নয়—গত এক বছরে এমন আরও অন্তত ২০টি গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা তদন্ত করেছে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইত। সংস্থাটির দাবি, ইরান পরিকল্পিতভাবে ইসরায়েলি তরুণদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রলুব্ধ করছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম—সব মাধ্যমেই সক্রিয় রয়েছে ইরানের গোয়েন্দারা।

তারা প্রথমে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা স্থানের ছবি তোলার মতো সহজ কাজের জন্য প্রস্তাব দেয়। অনেক সময় গ্রাফিতি আঁকার মতো নিরীহ কাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুরো প্রক্রিয়া। এর পর ধীরে ধীরে স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি, ভিডিও ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা তথ্য সংগ্রহে নিযুক্ত করা হয় সংশ্লিষ্টদের।

৪০০% বৃদ্ধি: নিরাপত্তার জন্য অশনিসংকেত

শিন বেইতের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানি গোয়েন্দা তৎপরতা প্রায় ৪০০ শতাংশ বেড়েছে।

এই বৃদ্ধির অর্থ হলো, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তেহরানের প্রভাবশালী গুপ্তচর নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠছে এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ফাটল ধরছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, দেশের ভেতর থেকেই নাগরিকরা সহজ অর্থ উপার্জনের লোভে এই তৎপরতায় সহযোগিতা করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন প্রেক্ষাপটে কেবল প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। সহজ লভ্য অর্থের ফাঁদে পা না দিতে নাগরিকদের সচেতন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এই ঘটনার পর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা জারি করে বলা হয়েছে—কোনো অচেনা বা সন্দেহজনক বার্তায় সাড়া না দিতে, এবং দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানাতে।

এখন প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধের বদলে যারা অর্থের লোভে নিজেদেরই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দিচ্ছে—তাদের প্রতি কি কেবল আইনগত ব্যবস্থা যথেষ্ট, নাকি প্রয়োজন আরও বড় পরিসরের প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা?

Nessun commento trovato